বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে এমন পর্যায়েও পৌঁছে যায়, যেখানে বাংলার সিপিআইএম (CPIM) ও কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব বিজেপিকেও সমর্থন করে ফেলেছে। তবে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের সুরে সুর মেলানো শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস নেতারা। সেই তালিকায় এবার মতুয়ারাও (Matua)। এসআইআর (SIR) নিয়ে মতুয়াদের রাজনীতির ঢাল করার চেষ্টায় মতুয়া সমাজের অনশন মঞ্চে শুক্রবার হাজির সুজন চক্রবর্তী ও শুভঙ্কর সরকার।

এসআইআর করে যেভাবে বাংলার বিপুল অংশের মানুষের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চালিয়েছেন বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন (Election Commission), তাতে প্রথম থেকেই সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নতুন প্রক্রিয়ায় রাজ্যের মতুয়াদের একটি বড় অংশের নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা। তার জেরে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের (Mamatabala Thakur) নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘ অনশনে বসেছে। এবার সেখানেও তৃণমূলের পদানুসরণ কংগ্রেস (Congress) ও সিপিআইএমের (CPIM)।

শুক্রবার কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (Subhankar Sarkar) অনশন মঞ্চে গিয়ে অনশনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুভঙ্কর প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচন কমিশন যে ১১টি কাগজের অন্ততঃ ১টি দেখাতে বলেছে, সেই কাগজ মতুয়া সমাজ কোথায় পাবে ? এই প্রক্রিয়াতে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভোটারের নাম বাদ পড়বে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাঁদের আশ্বস্ত করেন যে, কংগ্রেস মতুয়া ভাই-বোনদের এই লড়াইয়ের শরিক হয়ে থাকবে। এমনকি রাহুল গান্ধী এই ঠাকুরবাড়িতে আসবেন, এমন প্রতিশ্রুতিও দেন।

আরও পড়ুন: বাদ যাবে এক কোটি মতুয়ার নাম! অনশনের হুঁশিয়ারি সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

আবার সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty) মতুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও বাম আমলের ইতিহাস তুলে ধরে ঠাকুরনগরে ফের রাজনীতি উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেন সুজন। মতুয়াদের বঞ্চনা নিয়ে বরাবর সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময়ে কখনও সিপিআইএম নেতাদের সেখানে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কার্যত স্পষ্ট, ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে ঠাকুরনগরে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় বামেরাও।

–

–

–

–

–


