নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। সমস্তিপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে রাশি রাশি ভিভিপ্যাট স্লিপ উদ্ধার হল। ঘটনায় স্থানীয় এআরও-কে সাসপেন্ড করে দায় সারার পথে হেঁটেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যদিও আরজেডি (RJD) সমস্তিপুরের স্ট্রং রুমের ভিডিও প্রকাশ করে ভোটারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়।

সমস্তিপুরের কেএসআর কলেজের ভিভিপ্যাট স্লিপের (VVPAT slip) প্রচুর কাগজ পাওয়া যায় শনিবার সকালে। এই কেএসআর কলেজে নির্বাচনের স্ট্রং রুম (strong room) তৈরি হয়েছে। ৭ নভেম্বর বিহারের (Bihar) প্রথম দফা নির্বাচনের পরে এখানেই রয়েছে ইভিএম (EVM) ও ভিভিপ্যাট (VVPAT)। সেই পরিস্থিতিতে রাস্তার ধার থেকে স্লিপ উদ্ধারের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে যান সমস্তিপুরের জেলা শাসক (District Magistrate) রোশন কুশওয়া।

চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন দাবি করে, উদ্ধার হওয়া ভিভিপ্যাট স্লিপগুলি নির্বাচন শুরুর আগের মক পোলের। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, সেই স্লিপও (slip) নির্দিষ্টভাবে রাখার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম কেন মানা হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর এড়াতেই প্রথমে স্থানীয় এআরও-কে সাসপেন্ড (suspend) করা হয়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেন জেলাশাসক, অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার।

আরও পড়ুন: একলাফে বাড়ল বিহারের ভোট: ফায়দা কার? আশা দেখছে উভয়পক্ষ!

তবে ভিভিপ্যাটের স্লিপ পাওয়ার ঘটনায় কমিশনের হাত ধরে বিজেপির অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব খাঁড়া করছে আরজেডি। একদিকে সমস্তিপুর কেন্দ্রের স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়, সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ হয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্তিপুরের স্ট্রং রুমে এক ঘণ্টা সিসিটিভির আউটপুট বন্ধ থাকার তথ্যও তুলে ধরা হয়। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় সিসিটিভি বন্ধ ছিল বলেও অভিযোগ তোলে আরজেডি (RJD)।

–

–

–

–

–

