মুখে যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূস্বর্গে যে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে তার আরও এক প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। কাশ্মীরের সরকারি হাসপাতাল যেখানে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকেন সেখানেই এক প্রাক্তন চিকিৎসকের লকারে পাওয়া গেল স্টেথোস্কোপ, প্রেসক্রিপশন এবং একটি একে-৪৭ রাইফেল! জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজের (Anantnag Medical College) এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সেই চিকিৎসক আদিল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনন্তনাগ জেলার কাজিগুন্ডের বাসিন্দা ধৃত চিকিৎসক আদিল আহমেদ গত বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এদিন হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক তাঁর লকার খুলতেই দেখতে পান একে-৪৭ রাইফেল। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। হাসপাতালের লকার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল। ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে অনন্তনাগের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আদিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ধারা ৭/২৫ এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ১৩, ২৮, ৩৮ এবং ৩৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।বাজেয়াপ্ত একে-৪৭ রাইফেলটি ফরেনসিক টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়াল নম্বর দেখা হচ্ছে। রাইফেলটি কোনও অপরাধমূলক বা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেছেন তদন্তকারীরা। ব্যালিস্টিক বিশ্লেষণও করা হবে। অস্ত্রটি কেন তিনি নিজের লকারে লুকিয়ে রেখেছিলেন সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

–

–

–

–

–

–

–

–


