নোটবন্দির মতো ভোটবন্দি করছে মোদি সরকার। ফের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, উত্তরকন্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দাবি, “এসআইআর স্টে করা উচিত। কোটি মানুষ এখনও ফর্ম পাইনি।” একই সঙ্গে বাংলার মানুষকে হতাশ না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক, বিডিওদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কারও নথি হারালে করে দেবেন।”

এদিন উত্তরকন্যার বৈঠক থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, “নোটবন্দির মতো ভোটবন্দি করছে। এসআইআরও (গায়ের জোরে পগার পার করবে ভাবছে, কিন্তু পগার পার ওদের হতে হবে। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি নির্বাচনকে কমিশনকে (Election Commission) উদ্দেশ্য করে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “হ্যালো স্যার, ক্যান ইউ হিয়ার মি?” মমতার কথায়, “আমি মনে করি, SIR স্টে করা উচিত। কোটি মানুষ এখনও ফর্ম পাইনি।” কারণ ব্যাখ্যা করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন ডিক্লেয়ার হবে, তাহলে টাইম পেলেন কদিন? এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে, নাম লেখাতে হবে, পুরো প্রক্রিয়া এত কম সময়ে করা সম্ভব নয়।” মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এই তিন মাস যাতে রাজ্য কাজ না করতে পারে, তাই সুপার এমার্জেন্সি জারি করে অফিসারদের আটকে রেখেছে। টিচারদের স্কুল করতে হচ্ছে, বিএলও-দের কাজও করতে হচ্ছে। ২ ঘণ্টায় কত বাড়ি যেতে পারবে?

এদিন ফের মমতা বলেন একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। মানুষের হৃদয় কাঁদছে, আর বিজেপি হাসছে। তবে স্পষ্ট করে জানাই, জেনুইন ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলব না। যত আঘাত করবে, তত প্রত্যাঘাত হবে।”

এদিন রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলেও সুর চড়ান মমতা। তাঁর কথায়, “এসআইআর ঘোষণা হতেই নিউটাউনের বিভিন্ন বস্তি খালি হচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গারা থাকত বলে অভিযোগ। কোথা থেকে এল রোহিঙ্গারা? বর্ডার কার দায়িত্বে? দু-মুখো সাপ। একবার বলছো ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট, আবার বলছো ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যারা এসেছে, তাদের বাদ দেওয়া হবে না।” অনুপ্রবেশ হলে তার দায় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মমতা। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ ও বিজেপি ক্যাম্প করে ২০২৪ সালের লোকেদের নাম তুলছে।”

–

–

–

–

–


