নজিরবিহীন কাণ্ড রাজ্য ভলিবলে(Volleyall)। সচিব পল্টু রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কর্তাদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার পল্টুর অনুগামীরা ভলিবল(Volleyall) টেন্টে এসে প্লেয়ারদের সঙ্গে অসভ্যতা করেন। এমনকি হুমকি দেন জাতীয় দলের প্লেয়ারদের। এই ঘটনায় বিদ্রোহের দাবানল রাজ্য ভলিবলে। সচিবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের পথে হাঁটছেন কর্ম সমিতির সদস্যদের একাংশ।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্তা গোবিন্দ ভট্টাচার্য বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,৭ সেপ্টেম্বর এজিএম হয়। আমরা দাবি তুলি ১৯৫৬ সালের সাংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সেটা ছিল ভলিবল ফেডারেশন। এরপর asso হয়। যোগ্য সাংবিধান দাবি করেছিলাম। ভোট করতে হবে। শেষ ভোট হয় ২০১২ সালে। এর হয় ২০১৭ সালে। ২০২০ সালের নির্বাচন হয় ২০২৩ সালেও হয় সেটা হয় সিলেক্ট। ২০২৪ সালের কোনো ভোট হয়নি। ১৯৯১ সালে সচিব হন পল্টুদা , তারপর থেকে পদে আছেন। ২০১২ সালে ৫ কোটি এফডি ছিল আমাদের তহবিলে। এখন ২ কোটি মত আছে। পল্টু বাবু দু তিন জনকে নিয়ে চলেন। নিজের পুতুল কয়েকজনকে নিয়ে সেক্রেটারিযেত মিটিং হয়। সেটা সাংবিধান সম্মত নয়।

অভিযোগ উঠেছে আর্থিক দুনীর্তিরও। শেষ বছর রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় সাব কমিটির নামে। ১.২০-৪০ মধ্যে হয়। উনি নিজে করলে হয় ২.৮০ লক্ষ টাকায়। ভলিবল সচিব এর পোস্ট সম্মানিক। কিন্তু উনি ৩০ হাজার টাকা নেন প্রতি মাসে ফুয়েল চার্জ ও চালক বেতন নিয়ে। প্রত্যেক ক্লাবকে অনুদান দেন সোটার হিসেব নেওয়া হয় না।

জাতীয় কোচ মহামায়া চৌধুরী বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে ভলিবলের সঙ্গে যুক্ত। আমি এই ঘটনা দেখিনি। পল্টু দা অনেক ছেলে এনে অনেক চিৎকার করে প্লেয়ারদের খারাপ ভাষায় কথা বলেন। হুমকি দেন। আমরা প্রতিবাদ করায় এখানে কাজ পাইনা। এখানে এক নায়কতন্ত্র চলছে। এখানে একজন সচিব আছেন যিনি বলে দিচ্ছেন তার কথাই শেষ কথা। তিনি বেতন নিচ্ছেন কোনও কথা শুনেছেন না।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে এই সচিবকে বদল করে নতুন করে আনার।

–

–

–

–



