পরিবারের কেউ ভুল স্বীকার করে ফিরে এলে তাঁকে কাছে টেনে নিতে হয়- এই আপ্তবাক্য মেনে নিয়েই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে (Parambrata Chatterjee) কাছে টেনে নিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)। তার আগে প্রথমে ফেডারেশনকে (Federation) ইমেইল করে ও পরে স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ভিডিও পোস্ট (Video) করে পরমব্রত জানিয়ে দেন পরিচালক-প্রযোজক-ফেডারেশনের সমস্যা আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া উচিৎ। এটা নিয়ে আদালতের যাওরা সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। পরম-বার্তার পরেই বিশ্ববাংলা সংবাদকে স্বরূপ জানালেন, গুণী পরিচালকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।

ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকমাস আগে। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ১৩ জন পরিচালক। তালিকায় ছিলেন বিদুলা ভট্টাচার্য, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, সুদেষ্ণা রায়, সুব্রত সেন-সহ অ্যান্যরা। প্রায় বছরখানেক চলার পর এবছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলা খারিজ করে হাই কোর্ট। এই বিষয় নিয়ে এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পরমব্রত। জানান, তিনি আর কোনও আইনি লড়াইয়ে নেই। পরিচালকদের তৈরি করা সংগঠন ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (DAEI) থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পরমব্রত।

ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-কে (FCTWEI)-কে ইমেইলে এবং স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তায় পরিচালক-অভিনেতা জানান, “বিষয়টাকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যাওয়াটা হঠকারি সিদ্ধান্ত ছিল ৷ সঠিক ছিল না৷”

ভিডিও বার্তায় পরমব্রত (Parambrata Chatterjee) বলেন, ”গত এক বছর ধরে আমার এবং আমার কিছু সহকর্মীর সঙ্গে ফেডারেশনের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ, কিছু বাদানুবাদ, কিছু ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য চলছিল ৷ আজকে এই মূহূর্তে আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে আমাদের পারস্পারিক ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্যকে পিছনে ফেলে রেখে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে কাজ করতে পারব ৷ আমি ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পষ্ট করেছি, আমি ব্যক্তিগত ভাবে, বাকিদের কথা বলতে পারব না, প্রত্যেকে নিজের নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কোনওরকম আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে আর যুক্ত রাখছি না ৷ বর্তমানেও রাখছি না, ভবিষ্যতেও রাখব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর বছর ধরে কাজ করার সুবাদে জানি এই ফেডারেশন এক সুবৃহৎ পরিবার ৷ পরিবারের মধ্যে যদি কখনও ভুল বোঝাবুঝি হয় তখন সেটা আলাপ আলোচনার মধ্যে সমাধান করাটাই শ্রেয় ৷ এই প্রসঙ্গে বলতে দ্বিধা নেই, এই বিষয়টাকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যাওয়াটা হঠকারি সিদ্ধান্ত ছিল ৷ সঠিক ছিল না।”
আরও খবর: চমকে দিলেন ‘ধকধক গার্ল’ , মুখের গ্ল্যামার মুছে কয়েদি লুকে রহস্যময়ী মাধুরী!

পরমের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্ববাংলা সংবাদ-কে জানান, ”টলিউড বৃহৎ পরিবার। ২৯ গিল্ড ও অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে ফেডারেশন চলছে। সেখানে ভুল বোঝবুঝি , মনোমালিন্য হতে পারে। কেউ ভুল বুঝে দূরে সরে যেতে পারেন। তবে, যখন কেউ ভুল বুঝে ফিরে আসেন, তখন সবার উচিৎ তাঁকে সুযোগ দেওয়া, পাশে থাকা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় একজন গুণীমানুষ, একজন শিল্পী, পরিচালক। তিনি যখন অ্যাপ্রোচ করেছেন, তখন এগজিকিউটিভ কমিটি ও ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করব। একসঙ্গে সবাই চলব।”

ফেডারেশন-পরমের টানাপোড়নের এখানেই ইতি বলে মনে করছে টলিপাড়া।

–

–

–

–
–


