বাণিজ্যনগরীর পুরনিগমের নির্বাচন। আর তার আগে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হতেই ধরা পড়ে গেল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কমিশনের (Election Commission) বিরাট কারচুপি। ১ কোটি ভোটারের মধ্যে ডুপ্লিকেট ভোটার (duplicate voter) মিলল ১১ লক্ষ! এই ঘটনার পরে সরব বিরোধী দলগুলি (opposition parties)। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে অভিযোগ গ্রহণের সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হল কমিশন। সেই সঙ্গে খসড়া ভোটার তালিকা (draft voter list) প্রকাশের সময়সীমাও বাড়ানো হল।

বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (BMC) আসন্ন নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কর্পোরেশনের বর্তমান ভোটার (voter) সংখ্যা ১.০৩ কোটি। তার মধ্যে ৪.৩৩ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিকবার রয়েছে। এর মধ্যে কারো নাম দুবার রয়েছে। আবার অনেকের নাম রয়েছে ১০৩ বার। আশ্চর্য হলেও এভাবেই বাণিজ্য নগরীতে ভোট চুরির কাজে লিপ্ত নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যার ফলে মোট ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১,০১,৫০৫।

এই ধরনের ভুলের জন্য বিরোধীরা বারবার দাবি করছিলেন পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা (final voter list) প্রকাশের আগে অভিযোগ গ্রহণের জন্য আরও সময় দিতে হবে। এতদিন ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় ছিল। বিরোধীদের চাপে সেই সময় বাড়িয়ে ৩ ডিসেম্বর করা হয়। সেই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় দেওয়া হয়েছিল ৫ ডিসেম্বর। তা বাড়িয়ে (extended) ১০ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

আশ্চর্যজনকভাবে যে ওয়ার্ডগুলিতে ডুপ্লিকেট ভোটার সবথেকে বেশি রয়েছে সেগুলিতে এতদিন বিরোধী দলের কাউন্সিলর ছিলেন। যেমন ১৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর (Shivsena UTB) প্রাক্তন মেয়র কিশোরী পান্ডেকর। তাঁর ওয়ার্ডে ডুপ্লিকেট ভোটার ৮,২০৭টি। একই দলের আরও এক প্রাক্তন মেয়র স্নেহল আম্বেকরের ১৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডুপ্লিকেট ভোটার ৭,২৯৫। এরকম ওয়ার্ডের উদাহরণ যেখানে ৭ হাজারের বেশি ডুপ্লিকেট ভোটার, অসংখ্য।

আরও পড়ুন : বন্ধ কমিশনের অ্যাপ, তবুও চাপ BLO-দের! কাজ চলাকালীন হাসপাতালে আরও এক BLO

বিরোধীদের মধ্যে শিবসেনা উদ্ধভ গোষ্ঠী ও কংগ্রেসের তরফ থেকেই এই সংক্রান্ত সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তার উত্তরে কমিশন কী সাফাই দিচ্ছে? কমিশনের সাফাই ছাপার ভুলে এরকম হয়েছে। যেখানে ১০৩ বার একজন ভোটারের নাম ডুপ্লিকেট (duplicate voter) হয়েছে সেখানে সিস্টেমের সমস্যার ডিলিট (delete) করা যায়নি বলে ডুপ্লিকেট হয়েছে। আবার কোথাও ভোটার স্থানান্তরিত হওয়ার পরও নাম না মোছায় এই সমস্যা হওয়ার দাবি কমিশনের। আদতে সবটাই যে কমিশনের কারচুপি ধরা পড়ে যাওয়ার পর অজুহাত, তা ভোটার তালিকা পেশ নিয়ে সময়সীমা বাড়ানোতেই প্রমাণিত, দাবি বিরোধীদের।

–

–

–

–

