টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সফলভাবে আয়োজন করল ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন ইনোভেশনস ইন কম্পিউটার ভিশন অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনস (ISICVA 2025)। তিন দিনের এই প্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক মহলে বিশেষ সাড়া ফেলেছে।
আয়োজনের সূচনা হয় ২৭ নভেম্বর প্রি-সিম্পোজিয়াম ওয়ার্কশপ VisionSphere 2025 দিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিপ লার্নিং ও হেলথকেয়ার ইমেজিং নিয়ে বক্তৃতা ও আলোচনায় অংশ নেন গুরু নানক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আর. এস. সালারিয়া, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দেবতোষ ভট্টাচার্য, আইএসআই কলকাতার প্রফেসর স্বাগতম দাস, ADAMAS বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাজল সাহা এবং আইআইটি খড়্গপুরের প্রফেসর দেবদূত শীট। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উৎসাহে প্রথম দিনের কর্মশালা ছিল বেশ জমজমাট।

দ্বিতীয় দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী প্রফেসর অজয় কুমার রায়, NIFT কলকাতার ডিরেক্টর প্রফেসর ব্রিজেশ দিওর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মিতা নসিপুরি এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর অশোক রঞ্জন ঠাকুর। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তাঁরা প্রযুক্তি শিক্ষার দ্রুত পরিবর্তিত বিশ্বে কম্পিউটার ভিশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীরের প্রফেসর হরিভাউ আর. ভাপকার, আইআইটি মান্ডির প্রফেসর শুভজিৎ রায় চৌধুরী এবং এনআইটি রায়পুরের প্রফেসর নরেন্দ্র ডি. লোধে। পরে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন MAKAUT-এর প্রফেসর দেবাশিস দে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সৌম্য সেন, NIT দুর্গাপুরের প্রফেসর সমরজিৎ কর এবং RCC ইনস্টিটিউটের প্রফেসর হৃষীকেশ ভৌমিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন IIEST-এর প্রফেসর শিপ্রা দাস বিট এবং MAKAUT-এর প্রফেসর যাদব চন্দ্র দাস।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন TIG (SRC Initiatives) Universities-এর প্রো চ্যান্সেলর ড. ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এবং ADAMAS বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আর. টি. গোস্বামী। তাঁরা জানান, দ্রুত বিকাশমান কম্পিউটার ভিশন-গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন, আর এই ধরনের সিম্পোজিয়াম সেই সুযোগকে সম্প্রসারিত করে।

ISICVA 2025-এ এ বছর বিশ্বের দশটি দেশের গবেষকদের নির্বাচন করা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। একাডেমিক বৈচিত্র্য ও গবেষণার গভীরতা এই সিম্পোজিয়ামকে প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক পরিসরে পৌঁছে দিয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীর স্পনসর্ড এই আয়োজন ভবিষ্যতে তরুণ গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।

আরও পড়ুন – পিকনিকের মরশুমে সুখবর: কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম

_

_

_
_

