মেসি-ম্যাসাকারের পরে গোটা ঘটনায় কারণ খুঁজতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। একদিকে ঘটনার কারণ খোঁজা, অন্যদিকে ভাঙচুরের ঘটনা – দুইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত চলছে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের (Yuba Bharati Krirangan) যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এবার তার তদন্তে প্রথম গ্রেফতারি। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) দেখে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর থানার পুলিশ (Bidhannagar Police)।
ধৃতরা হলেন শুভ্রপ্রতিম দে ও গৌরব বসু। যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা। পরে আরও গ্রেফতার ৩। এই ঘটনায় মোট গ্রেফতার বেড়ে হল ৫। ধৃত বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস, অভিজিৎ দাস। এদিন গ্রেফতার হন শুভ্রপ্রতিম দে, অপরজন গৌরব বসু। ভাঙচুরের ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ।

যুবভারতী (Yuba Bharati) ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের (vandalise) অভিযোগে এই প্রথম গ্রেফতারি। সোমবার ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ। এছাড়াও যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় আয়োজক দলের ৬ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার যুবভারতীতে শতদ্রু (Satadru Dutta) ছাড়াও যে বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্বে ছিল তাদের প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : যুবভারতী কাণ্ডে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত শতদ্রু দত্তের

চারপাশে গড়াগড়ি খাচ্ছে ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া ব্যানার-হোর্ডিং। সবুজ ঘাসে ছড়ানো ছিটানো চিলি চিকেন, পপকর্ন, প্যাকেট প্যাকেট অবিক্রিত জলের বোতল, ঠান্ডা পানীয়! সল্টলেকে যুবভারতী স্টেডিয়ামের সর্বত্র এই ধংসস্তূপের ছবি। স্টেডিয়ামে ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগে কারা যুক্ত, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদেরও চিহ্নিত করছে পুলিশ। একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রড দিয়ে ভাঙা হচ্ছে স্টেডিয়ামের গেট, ভাঙচুর করে ছোড়া হচ্ছে চেয়ার। সোফা সেট তুলে এনে জ্বালানো হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পূর্ত দফতর ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব কষছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা।

–

–

–

–

–
–


