এনসিইআরটি-র পাঠ্যবইয়ে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (Bengali Freedom Fighters) ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabratra Banerjee)। সংসদের অধিবেশনে বুধবার তিনি বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস তুলে বলেন, জাতীয় পাঠ্যক্রমে এই ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের ৭০% বিপ্লবীরা বাঙালি ছিলেন।
বক্তৃতায় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে হওয়া ধারাবাহিক বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ওরা বীর, ওরা আকাশে জাগাত ঝড়।” তিনি স্মরণ করেন, ১৯৩১ সালের ৭ জুলাই ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের অন্যতম বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ওই দিনই সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের জেলা শাসক জেমস পেডিকে গুলি করে হত্যা করেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ও জ্যোতিজীবন ঘোষ। পরে তাঁদের আন্দামানের সেলুলার জেলে নির্বাসন দেওয়া হয়।

এরপর মেদিনীপুরের জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন রবার্ট ডগলাস। সাংসদের অভিযোগ, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দমননীতিকে আরও কঠোর করেন। ১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিজলি জেলে নিরস্ত্র বন্দিদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাও সংসদে তুলে ধরেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই ১৯৩২ সালের ৩০ এপ্রিল বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য ও প্রবংশু শেখর পাল ডগলাসকে হত্যা করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। পরে প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যকে ফাঁসি এবং প্রবংশু শেখর পালকে আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। আরও পড়ুন:

সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও এনসিইআরটি-র পাঠ্যবইয়ে তা লেখা হয়নি। তাঁর দাবি, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরতে হলে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই অধ্যায় অবশ্যই জাতীয় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

–

–

–

–

–

–


