শিক্ষকদের বিএলওর কাজে যুক্ত করে পঠন-পাঠনে এমনিই ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ওই সময় যাতে শিক্ষকদের বিএলও-র কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় সেই নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। কমিশন শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই শিক্ষকদের বিএলওর কাজে নিযুক্ত করেছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মন্ত্রী। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, এটা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা। রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে চলা হচ্ছে। তানাশাহি চলছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকেরা স্থায়ী কর্মী। তাঁদের বেতন ও পেনশন সুরক্ষিত। কিন্তু অন্য অনেক রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে ভোটের কাজ চালানো হয়। সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা দফতরকে পাশ কাটিয়ে কমিশন কাজ করছে।
পর্ষদ তাঁদের চিঠিতে জানিয়েছে, রাজ্যে মোট ২৬৮২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, পরিদর্শক, ভেন্যু সুপারভাইজার ও ইনচার্জের। ফলে ওই শিক্ষকসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানানো হয়েছে কমিশনকে। পাশাপাশি যাঁরা পরীক্ষায় সরাসরি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ভোট সংক্রান্ত সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও কথা বলা হয়েছে। আরও পড়ুন: দু-মলাটে প্রকাশ হল তৃণমূল সরকারের দেড় দশকের রিপোর্ট কার্ড ‘উন্নয়নের পাঁচালি’

–

–

–

–

–

–

–

–
–


