ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে (Bangladesh Violence) যে হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে, তা ক্রমেই বাংলাদেশকে আরও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যা সরাসরি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তথা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ব্যর্থতাকেই সামনে আনছে। এইবার সেই পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দেসহ আরও অনেক বুদ্ধিজীবীরা।
‘গণতান্ত্রিক’ বাংলাদেশে ‘প্রথম আলো’, ‘দ্য ডেইলি স্টার’সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠেছে। একই সময়ে ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া বা ভাঙচুরের মতো ঘটনা চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যুতে মানুষের স্বাভাবিক শোক ও সহমর্মিতার প্রকাশ ছিল। কিন্তু এই ঘটনাকে নিয়ে বেশ কিছু ‘সংঘবদ্ধ জনতা’ রাজনীতি করে দেশকে চরম পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। তিনি জানান, “সরকার আগাম প্রস্তুতি নিলে এই পরিস্থিতি আরও ভালভাবে সামাল দেওয়া যেত। এক জনজাতি হিসেবে আমরা একটি খুব খারাপ উদাহরণ তৈরি করেছি। রাষ্ট্রের উচিত এ ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই সহ্য না করা।” আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অশান্তিতে ভারতের প্রথম প্রতিক্রিয়া! চট্রগ্রামে বন্ধ ভারতীয় ভিসার কাজ

অন্যদিকে, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে শনিবার সেগুনবাগিচার সত্যেন সেন চত্বরে আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশে এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ঠিক সেই একই কায়দায়, যেভাবে দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও ছায়ানটের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হুমকি।”

সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের দাবি, এই ধরনের হামলা শুধু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ক্ষতি নয়। বরং তা জনগণের জানার অধিকার ও মুক্তচিন্তার পরিসরকে ছোট করছে। তারা মনে করছেন, রাষ্ট্র যদি দৃঢ় অবস্থান না নেয় এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় না আনে, তবে ভবিষ্যতে এমন হামলার ঝুঁকি আরও বাড়বে।

–

–

–

–

–
–


