বড়দিন মানেই আনন্দ। পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) আলোকসজ্জা। পিকনিক। চিড়িয়াখানায় হুল্লোড়। তবে এবার তিলোত্তমাকে (Kolkata) রীতিমতো টক্কর দিচ্ছে সৈকত শহর দিঘা (Digha)। বুধবার সকাল থেকেই পর্যটকদের (Tourist) ঢল নেমেছে সেখানে। সন্ধে হতেই বদলে যাচ্ছে গোটা এলাকার চেহারা।

এবার দিঘার (Digha) সাজগোজ দেখে কার্যত থ পর্যটকরা। প্রথমবারের মতো বড়দিনকে কেন্দ্র করে এক নতুন সাজে দিঘা। সন্ধে নামতেই জগন্নাথ মন্দিরের সামনের রাস্তা চেনা যাচ্ছে না—চারপাশ ভাসছে বাহারি আলোয়। শুধু রাস্তাই নয়, সমুদ্রের পাড়—সবটাই এখন রঙিন আলোর মালায় মোড়া। এছাড়া মন্দিরের গায়েও দেখা যাচ্ছে আলোর কারুকাজ। বড়দিনকে সামনে রেখে দিঘাকে এমন রাজকীয় সাজে আগে কখনও দেখা যায়নি। পর্যটকদের মতে, সমুদ্রের হাওয়ার সঙ্গে এই আলোর মেলা একটা আলাদা পাওনা।

এবার নতুন চমক- দিঘার অমরাবতী পার্কের পাশের ‘ওয়ান্ডারল্যান্ড কাজল দিঘি’ লেকে শুরু হয়েছে অত্যাধুনিক লেজার-শো। সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই শো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সব বয়সের মানুষ। মাত্র ২০ টাকার টিকিটেই উপভোগ করা যাচ্ছে এই আলোর খেলা। এছাড়া শিশুদের জন্য টয়ট্রেন, প্যাডেল বোট আর ছোটদের নানা রাইড তো আছেই। সব মিলিয়ে ফ্যামিলি আউটং-এর জন্য কাজল দিঘি এখন পয়সা উসুল জায়গা।
লক্ষাধিক মানুষের ভিড় সামলাতে প্রশাসনও বেশ সতর্ক। কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যানজট এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২৪, ২৫, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর দিঘার প্রধান প্রবেশপথে কোনও টোটো ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পর্যটকবাহী বাসগুলিকে বাইপাস দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। গাড়ি রাখার জন্য মোট সাতটি আলাদা পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে।

নিরাপত্তার খাতিরে সিভিল ড্রেসেও পুলিশ ঘুরছে শহরজুড়ে। সব মিলিয়ে বড়দিন আর নতুন বছরের সেলিব্রেশনে এখন দিঘাই বাঙালির সেরা গন্তব্য।

–

–

–

–

–


