বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে ইস্যু করে ধর্মীয় বিভাজনে তৎপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই যে কোনওভাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের (minority) উপর অত্যাচারের ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি। শুক্রবার আর একবার বাংলাদেশ হাই কমিশন দফতর (Bangladesh High Commission) অভিযান করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করলেন তিনি। কিন্তু এই প্রতিবাদ দিল্লিতে না করে কলকাতায় কেন, ফের প্রশ্ন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

শুক্রবার বাংলাদেশের হাই কমিশন দফতরে পাঁচ জন সাধুরকে সঙ্গে নিয়ে নিজের দাবি পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাক্ষাৎকার শেষে তিনি জানান, সোমবার থেকে হাইকমিশন দফতরে দেখা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার যে অনুমতিতে তিনি পেয়েছেন তা হয়তো ভয় পেয়েই দিয়েছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। এদিনও শুভেন্দু দাবি করেন, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে তা বন্ধ না হলে তিনি কলকাতায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (surgical strike) করবেন।

সেখানে তৃণমূলের প্রশ্ন বাংলাদেশের উপর রাগে কোন যুক্তিতে কলকাতায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে? তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) বা বিজেপির নেতাদের যা যা বিপ্লব করার আছে যান দিল্লিতে। সার্জিকাল স্ট্রাইক (surgical strike) করার হলে যান গিয়ে রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) বলুন। কথায় কথায় আপনারা দিল্লি দেখান। এখানে মিডিয়া গরম করে, রাস্তাঘাটে গণ্ডগোল করে কী লাভ?
বাংলাদেশ ইস্যুতে বাংলার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে কুণাল এদিন আবারও জানান, বাংলাদেশে যেভাবে হিংসা চলছে, সেই সামগ্রিক হিংসার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা করবে তার পাশে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুভেন্দু (Suvendu Adhikary) বলছেন সার্জিকাল স্ট্রাইক (surgical strike) করবেন। কে করবে? পশ্চিমবঙ্গ? আমাদের কিছু তো করার নেই। করতে হবে দিল্লিকে। বিজেপির সরকারকে। নরেন্দ্র মোদির সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গ একটা রাজ্য। বাংলাদেশ একটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গের এক্তিয়ার নেই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রশাসনিকভাবে যোগাযোগ করার।

আরও পড়ুন : তারেক কাস্ত্রো-চে-ম্যান্ডেলা-মার্টিন লুথার নন: প্রথম বক্তৃতায় স্মরণ করিয়ে দিলেন তসলিমা

শুভেন্দু যে বাস্তবে এই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে ভোট পর্যন্ত জিইয়ে রাখতে চাইছেন তা স্পষ্ট তাঁর কথায়। তিনি দাবি করেন পৌষ পার্বণের পরে নাগা সন্ন্যাসীদের (Naga sadhu) নিয়ে ফের ধর্না দেবেন তিনি। আর সেখানে কুণালের প্রশ্ন, ওই একই পোশাকে শুভেন্দু ধর্না দেবেন তো? সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, সন্ন্যাসীদের আমরা সম্মান করি। তাঁদের নিয়ে যদি রাজনীতি করা হয়। তাঁদের নিয়ে তবে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিন।

–

–

–

–


