হুবহু সরকারি বিজ্ঞাপনের মতো, আছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নাম ছবি সব কিছু। কিন্তু পা দিলেই বিপদ! কি করে চিনবেন কোনটা আসল আর কোনটা স্ক্যাম। এবার এই নিয়ে সর্তকতা জারি করল রাজ্য পুলিশ। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া X হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো সরকারি ঋণ পরিকল্পনার বিজ্ঞাপন ছড়ানো হচ্ছে। যা প্রতারণামূলক ও অবৈধ। মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা অননুমদিত ও অবৈধ।’

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধরনের ভুয়ো ঋণের বার্তা জারি করা হচ্ছে। সেখানে apply now বা Register Now- এর মতো কিছু শব্দ লেখা থাকছে। যাতে ক্লিক করলেই অন্য কোনও অ্যাপ বা পোর্টালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর পর আধার কার্ড, প্যান কার্ডের তথ্য ও মোবাইল নম্বর নিয়ে ওটিপি চাওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এখন এই পরিমাণ টাকা অগ্রিম জমা দিলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে। সেই টাকা হাতানোর পর ফোন কেটে দিচ্ছেন প্রতারণাকারীরা। আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে আটকে মেট্রো, রবিবার লাইন ধরে হেঁটে প্ল্য়াটফর্মে যাত্রীরা!

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ‘নো সিবিল’, ‘ইনস্ট্যান্ট অ্যাপ্রুভাল’ বা ‘সরকারি ঋণ’ সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাবে বিশ্বাস না করতে বলা হয়েছে। অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করা, অপরিচিত অ্যাপ ইনস্টল না করা এবং কখনওই ওটিপি বা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
⚠️ PUBLIC ADVISORY
MISUSE OF THE NAME OF HON’BLE CHIEF MINISTER OF WEST BENGAL FOR ONLINE LOAN FRAUDSIt has come to the notice of West Bengal Police that fraudsters are circulating misleading advertisements and social-media content, falsely using the name and photograph of…
— West Bengal Police (@WBPolice) December 28, 2025
কোনও ব্যক্তি যদি এই ধরনের প্রতারণার মুখে পড়েন বা সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধ হেল্পলাইন ১৯৩০-এ যোগাযোগ করার অথবা cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে স্ক্রিনশট, লিঙ্ক, ফোন নম্বর ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশ ধারণ, প্রতারণা, সাইবার অপরাধ ও সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার–সহ একাধিক ধারায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতাতেই সাইবার অপরাধ রোখা সম্ভব বলে জানিয়েছে পুলিশ।

–

–

–

–

–



