স্থানীয় বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দেখা না করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ রাজনৈতিক মতভেদের উর্ধ্বে উঠে মহারাষ্ট্রে হেনস্থার শিকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা অসিত সরকার এবং গৌতম বর্মণের মধ্যে একজন আবার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি। তাও তাঁদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, চৌহদ্দিতে ঢুকতে দেননি পর্যন্ত করেননি রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। আর শুধু তাঁদের সঙ্গে দেখা করাই নয়, সবরকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক। 

দক্ষিণ দিনাজপুরের অসিত সরকার এবং গৌতম বর্মণকে দুজনই থাকেন সুকান্তর সংসদীয় এলাকায়। বাংলাভাষা বলায় অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং বসবাসের অভিযোগে বিদেশী আইনে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ভিওয়ান্ডিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। অথচ তাঁদের নাম SIR খসড়া ভোটার তালিকায় আছে। ফলে তাঁরা যে বৈধ ভারতীয় নাগরিক, তা করেছে। গৌতম আবার নিজেই বিজেপির বুথ সভাপতি। গ্রেফতারের পরে তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ফিরেও তাকাননি। বিজেপি মন্ত্রীর কাছ থেকে একটিও প্রতিবাদের শব্দ শোনা যায়নি।

কিন্তু দলমতের উর্ধ্বে উঠে সেই বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। তাঁর কথায়, এটা রাজনীতির বিষয় নয়। এটা বাংলা-বাঙালি এবং আত্মসম্মানের প্রশ্ন, মানবিক দায়বদ্ধতা। শুধু তাই নয়, তিনি সবরকমের সাহায্যের আশ্বাসও দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটাই হল রাজ্যের বিজেপির চরিত্র। অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে ফিরে যাওয়ার পথে গৌতমরা জানান, আমরা আশ্বস্ত এবং আমরা খুশি। সুকান্তবাবু তাকাননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জ্বালা জুড়িয়ে দিলেন। 
–

–

–

–

–

–

–
–


