বাজারে ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। উৎসবের মরসুমে বেকারি শিল্পে বাড়তি চাহিদা, শীতকালে ডিমের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াকেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এর প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড রাজ্যজুড়ে ৮০০-র বেশি হরিণঘাটা স্টলের মাধ্যমে ন্যায্য দামে ডিম বিক্রি শুরু করেছে। খোলা বাজারের তুলনায় প্রতি ডিমে অন্তত এক টাকা কম দামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

ডিমের জোগান বজায় রাখতে কর্পোরেশনের অধীনে থাকা সাতটি পরিবেশ-নিয়ন্ত্রিত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পোলট্রি লেয়ার ফার্মে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। এই সংস্থার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪৫ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সরকারি উদ্যোগে চালু থাকা প্রচলিত পোলট্রি ফার্মগুলিও ডিম সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।
প্রশাসনের দাবি, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ন্যায্য দামে উচ্চমানের প্রোটিন সরবরাহ করার পাশাপাশি দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটানোই রাজ্যের উদ্দেশ্য। হরিণঘাটা ব্র্যান্ডের ডিম পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং গুণমান নিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের আস্থা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বাজারে ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতির সময়ে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেকেই মনে করছেন, এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে মূল্যবৃদ্ধির চাপ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন – বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র! বাংলাদেশি গ্রেফতারির ভুয়ো খবরে সরব রাজ্য পুলিশ

_

_

_

_

_
_


