বাঁকুড়া জেলার পুণ্যভূমিতে সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গভীর ছাপের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার বড়জোড়ায় আয়োজিত জনসভা থেকে তিনি জেলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃতী মানুষদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে প্রাচীনকাল থেকে বিদ্যাচর্চা, শিল্পকলা ও ধর্মীয় স্থাপত্যের নানা ক্ষেত্রে বাঁকুড়ার অগ্রণী ভূমিকার কথা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঁকুড়া শুধু একটি জেলা নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই মাটি বহু মনীষীর জন্ম দিয়েছে, যাঁরা নিজেদের কাজের মাধ্যমে বাংলা তথা দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। সভায় তিনি বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির, পাঁচমুড়ার ঘোড়া, বালুচরী ও স্বর্ণচরী শাড়ি এবং ডোকরা শিল্পের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, যা বিশ্ব দরবারে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।

জনসভা শেষে সামাজিক মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়াকে পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীমা সারদা, প্রথিতযশা চিত্রকর যামিনী রায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজ-সহ বহু কৃতী মানুষের ধাত্রীভূমি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, এই শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ভূমি আজও বাংলার গৌরব বহন করে চলেছে।বার্তার শেষে মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার এই ধাত্রীভূমি এবং এখানকার মনীষীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানান।
আরও পড়ুন- এসআইআর শুনানি ইস্যুতে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল! অসুস্থ ভোটারদের বাড়িতে শুনানির দাবি

_

_

_

_

_

_
_


