আইএসএল-এ দ্বিতীয় জয় ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফসিকে ২-০ গোলে হারাল অস্কার ব্রুজোর দল। এদিন হেক্টর ইয়ুস্তেকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল লাল-হলুদ । আর মাঠে নেমেই দাপট দেখায় অস্কারের দল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুটি গোল করেন পিভি বিষ্ণু , এবং জিকসন সিং। দুটি গোলই হয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।

ম্যাচে এদিন প্রথমার্ধে সেভাবে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ করতেই পারেনি। উল্টে ড্যানিয়েল চিমা চুকু মিস না করলে চেন্নাইয়ান এগিয়ে যেতে পারত। গোটা ৪৫ মিনিট জুড়ে নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ৩টে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন এই বিদেশি। তবে কাজের কাজ করতে পারেননি তিনি। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন কনার শিল্ডস। ১৫ মিনিটে শিল্ডের কর্নার থেকে হেড করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন চিমা। গোল করতে পারেননি তিনি। ১৯ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ইরফানও। তাঁর শট বাইরে চলে যায়। ২৫ মিনিটে শিল্ড ফের ক্রস পাঠান বক্সে। এবার একেবারে ফাঁকায় হেড করলেও তা বাইরে চলে যায়। ৩০ মিনিটে চিমার শট দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন প্রভসুকান গিল। পালটা আক্রমণ চালায় লাল-হলুদ। তবে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।

ম্যাচের প্রথমার্ধ চেন্নাইয়ানের হলে, দ্বিতীয়ার্ধ ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ চালায় অস্কার ব্রুজোর দল। যার ফলে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন পিভি বিষ্ণু। মহেশ পাশ দেন ক্রেসপোকে। সেই বল গোলে রাখেন তিনি। তবে চেন্নাই গোলরক্ষক তা সেভ করতে গেলে ফিরতি বল পান বিষ্ণু। তা জালে জড়াতে ভুল করেননি লাল-হলুদের তরুণ তুর্কী। এরপর একটি পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ। ক্রেসপোকে তুলে জিকসন সিংকে । আর এতেই ঘুরে যায় ম্যাচের ফলাফল। ম্যাচের ৬২ মিনিটে একটি সুযোগ নষ্ট করেন জিকসন। তবে ৮৪ মিনিটে আর সেই ভুল করেননি তিনি। জরালো শটে গোল করে লাল-হলুদকে ২-০ এগিয়ে দেন জিকসন। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি অস্কারের দল। যার ফলে ম্যাচ শেষ হয় ২-০ গোলে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে ১৩তম স্থান থেকে ১১তে উঠে এল তারা। ৯ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ৭।
