হোটেলে মহিলাদের নিয়ে রাত্রিবাস, পুলিশ রেডে পাকড়াও ‘দ্রোহের কার্নিভালের’ অন্যতম উদ্যোক্তা!

তিলোত্তমার মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করা এবং ‘রাত দখল’ ও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ -এর নামে নাটক করা ডাক্তার সৌনক কুণ্ডু (Dr Sounak Kundu) মহিলাদের নিয়ে হোটেলে রাত্রিবাস করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন। চারজন সহচরীকে নিয়ে সুভাষগ্রামের একটি হোটেলে উঠেছিলেন কেপিসি মেডিকেল কলেজের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পিজিটি (Anesthesia PGT 3rd Year, KPC Medical College) সৌনক। পুলিশ সেখানে রেড করায় খুলে গেল ‘আন্দোলনকারী’ ডাক্তারবাবুর মুখোশ। গুণধর ডাক্তারবাবু কি হোটেলে মহিলাদের নিয়ে ‘দ্রোহের রাত্রিবাস’ করতে গেছিলেন? ভিডিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ WBJDA-এর (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ)।

আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে ভাল মানুষের মুখোশ পরা ডাক্তারবাবু আসল চেহারাটা প্রকাশ্যে এসে গেল। আর এটাও পরিষ্কার হয়ে গেল যে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট (WBJDF ) আসলে কাদের শেল্টার দিচ্ছে? তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের আন্দোলনের প্রথম সারিতে দেখা গেছে ডাঃ সৌনককে। তাঁর সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে E.N.T বিভাগের PGT ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া কিংবা ডাঃ সোহম মণ্ডলদের ছবি তুলে ধরে WBJDA-এর তরফে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। আসফাকুল্লা নাইয়া আবার WBJDF এর সেক্রেটারিও বটে। এখন প্রশ্ন, কোন নীতিতে উনি দ্রোহের রাত্রিবাস করতে গিয়ে পুলিশের রেডে আটক হওয়া ডাঃ কুণ্ডুর সঙ্গে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে শিরদাঁড়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন? ডাঃ নাইয়ার নিজের শিরদাঁড়াটি সোজা আছে কি ?

নারী নিরাপত্তা, মহিলাদের সম্মান রক্ষার দাবিতে স্লোগান দিয়ে হোটেলে মহিলাদের নিয়ে রাত্রিবাস কি দ্বিচারিতা নয়? অর্থাৎ প্রতিবাদের নামে নাটক করা শুধুমাত্র রাজনীতি জিইয়ে রাখার জন্য। WBJDA এর পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তদন্ত করে ডক্টরস ফ্রন্টের নেতাদের মুখ এবং মুখোশ উন্মোচন করার অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ডাঃ সৌনক কুণ্ডুর কোনও মন্তব্য মেলেনি। দ্বিচারিতার মাধ্যমে লোক ঠকানোর কীর্তি সামনে আসতেই, মুখে কুলুপ এঁটেছেন WBJDF এর সামনের সারির তথাকথিত ‘অরাজনৈতিক’ ডাক্তারবাবুরাও।