বেপরোয়া বাসের রেষারেষি আটকাতে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর জন্য পরিবহণ দফতর একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ তৈরির কথা জানিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি দফতর ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে এই মোবাইল অ্যাপ তৈরি করছে।সেই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি বাসের যাত্রাপথের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য, গতিবেগ সহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। প্রত্যেক বাস চালককে নিজেদের মোবাইলে বাধ্যতামূলক ভাবে এই উন্নত প্রযুক্তির অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে । সংশ্লিষ্ট বাস চালকের নাম, ফোন নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর সবই অ্যাপে যুক্ত করা হবে। বাসটি নির্দিষ্ট গতিবেগ অতিক্রম করলেই অ্যাপের মাধ্যমে চালকের মোবাইলে সতর্ক বার্তা পাঠানো হবে । চালক তা না মানলে বাসের মালিক এবং পরিবহণ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা বিপদ সঙ্কেত পাবেন। তারপরও চালক যদি গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

গত নভেম্বরে সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুটিতে চেপে স্কুল থেকে ফিরছিল শিশুটি। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠকও হয়। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, বাসের রেষারেষি বন্ধে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন, আইজি ট্রাফিক (পশ্চিমবঙ্গ পুলিস) সুকেশ জৈন-সহ বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পথ দুর্ঘটনা রুখতে বেপরোয়া বাস চালকদের ওপর নজরদারির জন্য এই অ্যাপ নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়।বস্তুত, বাসের রেষারেষি বন্ধে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শহরের সব রাস্তায় স্পিড ব্রেকার, সিসিটিভি নজরদারি, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাজ্য।



