কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রোড শো-কে এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় ‘জনবিস্ফোরণ’। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু কালোমাথা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে রোড শো-এর সূচি পরিবর্তন করতে হয়। যে রাস্তা দিয়ে ব়্যালি যাওয়ার কথা ছিল সেটি সংকীর্ণ হওয়ায়, চওড়া রাস্তা ধরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। মাঝে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিষেক। কারণ, তিনি যখন মাঝ রাস্তায় তখনও শুরুর জায়গায় প্রচুর লোক দাঁড়িয়ে আছেন। সারা রাস্তা জুড়ে তৃণমূলের (Tmc) নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি হাজির হয়েছেন হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ণাঢ্য রোড শো-র শেষে বক্তব্য রাখেন অভিষেক।
অধিকারীগড় বলে পরিচিত কাঁথিতে দাঁড়িয়ে ‘গদ্দার’দের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, এবার থেকে তিনি নিয়মিত পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) একজনের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাঁদের পূর্ব মেদিনীপুরে যেতে দিতেন না। এবার সমস্ত রকম সমস্যায়, উৎসবে, প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির মানুষের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে কারচুপি করে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে তৃণমূল, দাবি শুভেন্দুর
তৃণমূল সাংসদ কটাক্ষ করে বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে মেরুদন্ড বিক্রি করে গদ্দার চলে গিয়েছে বিজেপিতে। সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) লেখা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) নাম থাকলেও, তাঁকে ধরা হচ্ছে না। অথচ তাঁর বাড়িতে সিবিআই পৌঁছে যাচ্ছে বলেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “আমায় যতই ভয় দেখাও আমি মেরুদন্ড বিক্রি করব না। গলা কেটে দিতে চাইলেও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ বেরোবে”।
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। তৃণমূলের ইস্তেহারে নারী ক্ষমতায়নের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাও উল্লেখ করেন।
এদিন অভিষেকের রোড শো ঘিরে তুমুল উদ্দীপনা দেখা যায় দেখা যায় তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। রোড শো শুরু হয়েছিল বিকেলে। যখন তা শেষ হয় তখন সন্ধে নেমেছে। অথচ ভিড় কমে যাওয়ার বদলে ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই জনজোয়ার ইভিএমেও প্রতিফলিত হবে বলে আশা তৃণমূলের।