এবার দুটি আসনে প্রার্থী হলে উপ নির্বাচনের খরচ জয়ী প্রার্থীর, নয়া বিধি আসছে

ভোটপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে আইনমন্ত্রকে নতুন বিধির খসড়া পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

খসড়া অনুসারে নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে একাধিক আসনে একই প্রার্থীর লড়াই করার দিন এবার সম্ভবত শেষ হতে চলেছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব , কোন প্রার্থী যদি দু’টি আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ায়, আর দুটি আসনেই জয়লাভ করে, তাহলে সেই জয়ী প্রার্থীকেই পরবর্তী উপ-নির্বাচনের সমস্ত খরচ বহন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের কাছে এই বিধির খসড়া পাঠিয়েছে। এই খসড়া নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে সর্বস্তরে।

এই খসড়াতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যদি এক প্রার্থীর দুটি আসনে লড়াই করা বন্ধ করা না যায়, তাহলে নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনা মুশকিল।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি লিখে নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনার এই প্রস্তাবকে বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন।

“”””””””””””””””””””””

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব

■ কোন প্রার্থী যদি দু’টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়ায় এবং দুই আসনেই জয়লাভ করে, তাহলে সেই জয়ী প্রার্থীকেই পরবর্তী উপ-নির্বাচনের সমস্ত খরচ বহন করতে হবে।

■ নির্বাচনের 48 ঘণ্টা আগে যে ‘সাইলেন্স পিরিয়ড” চলে, সংবাদমাধ্যমকেও সেই ‘সাইলেন্স পিরিয়ড”-এর আওতায় আনা।

■ নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদায় ছাড়

■ বছরে দু’বার ভোটার কার্ড বানানোর সুযোগ।

■ ভুল তথ্য আর মিথ্যা খবরের জন্য দুই বছরের কারাবাস।

“”””””””””””””””””””

কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে আরও আটটি প্রস্তাব। তার মধ্যে আছে, নির্বাচনের 48 ঘণ্টা আগে ‘সাইলেন্স পিরিয়ড” চলাকালীন প্রিন্ট মিডিয়াকে যুক্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর চাঁদার ছাড় ইত্যাদি। প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য 8টি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর সাথে বছরে দু’বার ভোটার কার্ড বানানো, ভুল তথ্য আর মিথ্যা খবরের জন্য দুই বছরের কারাবাসের সুপারিশও করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, স্বচ্ছ আর পারদর্শী নির্বাচন করানোর জন্য সবথেকে বড় প্রয়োজন হল, সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া।

Previous articleসংসদে অমিত শাহের প্রস্তাব, কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্টেটাস’ তুলে নেওয়া হোক
Next articleমুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ফের 60 লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলার তদন্তে পুলিশ