মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ফের 60 লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলার তদন্তে পুলিশ

একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ দিল্লি গিয়ে জেরা করেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে।

এ বার সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে 60 লক্ষ টাকার প্রতারণা, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র, হুমকির পাশাপাশি দুর্নীতি নিরোধক আইনের একাধিক ধারায় মামলা । এই অভিযোগটি এনেছেন বেহালার বীরেন রায় রোডের এক বাসিন্দা। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী পুলিশকে বলেছেন, “2015 সাল, মুকুল রায় তখন রাজ্যসভার সাংসদ। সেই বছরেই অভিযোগকারী দেখা করেন সাংসদ মুকুল রায়ের সঙ্গে। সাংসদ অভিযোগকারীর সঙ্গে তিন জনের পরিচয় করিয়ে দেন। ওই তিন জনই সাংসদের ঘনিষ্ঠ। 46 লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই অভিযোগকারীকে পূর্ব রেলের জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির বা ZRUCC সদস্য করে দেওয়ার কথা বলেন। ওই তিনজন টাকাটা মুকুল রায়ের মাধ্যমেই দাবি করেন। এমনকী ওই তিন ব্যক্তির দিল্লি যাওয়ার বিমানের টিকিটও করে দিতে হয়। এ ব্যাপারে যাবতীয় নথিও ওই ব্যক্তি পুলিশকে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ মুকুল রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে রেখে এই প্রতারনার মামলার তদন্ত শুরু করছে।
দিন দুয়েক আগেই বড়বাজার-কাণ্ডে এক ব্যক্তির কাছ থেকে 80 লক্ষ টাকা নেওয়ার মামলায় মুকুল রায়কে দিল্লি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কলকাতা পুলিশ।
এর পরই জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা আরও এক প্রতারণার মামলা নিয়ে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। চাকরি দেওয়া-সহ রেলের কমিটিতে জায়গা করে দেওয়ার নাম করে মুকুলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার নতুন অভিযোগ সামনেট এসেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সরশুনা থানায় দায়ের হওয়া প্রায় 60 লক্ষ টাকার এই প্রতারণার মামলায় প্রদম অভিযুক্তই মুকুল রায়। মুকুল ছাড়াও FIR-এ নাম আছে মুকুল-ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের।
নতুন এই প্রতারনার অভিযোগ নিয়ে
মুকুল রায়ের বক্তব্য, “এমন কিছুই আমি এখনও জানি না। মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভাবে হেরে গিয়ে আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করেছেন”।

Previous articleএবার দুটি আসনে প্রার্থী হলে উপ নির্বাচনের খরচ জয়ী প্রার্থীর, নয়া বিধি আসছে
Next articleরাজ্যে এই প্রথম সাতপাকে বাঁধা পরছেন রূপান্তরকামী যুগল