বাংলার চলতি রাজনীতিতে সবচেয়ে মুশকিলে পড়েছেন বিজেপির পুরনো, নিচুতলার কর্মী ও দীর্ঘদিনের সমর্থকরা। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের যে আর কী কী দেখতে হবে কে জানে! শাসক দল তৃণমূলের যে নেতার বিরুদ্ধে আজ আক্রমণ শানাচ্ছেন, কাল দেখছেন তিনিই বিজেপির নেতা হয়ে বসেছেন! যে নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অনৈতিক কান্ডকারখানার অভিযোগ তুলে এতদিন সরব হতেন, কটাক্ষ করতেন, জেলে পোরার দাবি জানাতেন, আজ তাঁর নামেই জয়ধ্বনি দিতে হচ্ছে। মুকুল রায়, অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামাণিক, ভারতী ঘোষ, মনিরুল ইসলাম ও আরও বহু বিতর্কিত মুখ থেকে শুরু করে সর্বশেষ শোভন চট্টোপাধ্যায়, সংগঠন বাড়ানোর অজুহাতে তৃণমূলের আর কাকে কাকে যে কাল নেতা বলে মানতে হবে তা বুঝতেই পারছেন না বিজেপি সমর্থকরা। আজকের আক্রমণের যুক্তি কাল কীভাবে প্রশস্তিতে বদলে যাচ্ছে নিজেরাই থই পাচ্ছেন না। বিজেপির তথাকথিত পার্টি উইথ ডিফারেন্সের গর্বও ভেঙেচুরে শেষ। আর এসবের ফলে সাধারণ মানুষের চোখে বিজেপির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকলেও সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের কিছুই করার নেই।
কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসে তোয়ালে মুড়ে ঘুষের টাকা নেওয়া তৃণমূলের নেতাকে যদি রাতারাতি নিজেদের নেতা বলে মানতে হয় তখন মান-সম্মান আর কী বাকি থাকে? আর বিজেপির যে নেতারা সেদিন দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন মেয়রের গ্রেফতারি চেয়েছিলেন, তাঁরাই আজ ‘আইন আইনের পথে চলবে ‘বলে কোনওরকমে অস্বস্তি লুকোচ্ছেন।