দিলীপের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

পূর্ব মেদিনীপুর: অতি বাড়াবাড়ি করো না, তা না হলে এমন মার মারবো বাড়ির বউ-বাচ্চাও চিনতে পারবে না। একেবারেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেব। আর তা না হলে জঙ্গলমহল বা পাহাড়ে পাঠিয়ে দেব। সেখান থেকে আর বেরোতে পারবেন না। রোজই পাবলিকের হাতে গণ ধোলাই খাবেন। আমি কোন আইপিএস, আইএস, ডব্লুবিসিএসকে ভয় পাই না। আমি অনেক সহ্য করেছি। ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

তিনি আরও বলেন, আমার উপর বহুবার আক্রমণ করা হয়েছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তাতেও আমি কিছু বলিনি। চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে 72 জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে খুন হতে হয়েছে। এই রাজ্যে 22 হাজার মিথ্যে মামলায় আমাদের নেতাকর্মী কেস দেওয়া হয়েছে। এখনও দু-তিন হাজার বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা মিথ্যে মামলায় জেল খাটছেন। কারুর একফোঁটা চোখের জল আমি বৃথা হতে দেব না বলে হুঁশিয়ারি তাঁর। সব হিসেব কড়ায়-গণ্ডায় ফেরত দেব।

সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদায় তৃণমূল ও পুলিশকে এভাবেই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি বলেন, “আমি জঙ্গলমহলের ছেলে। কাউকে ভয় পাই না। আর ছেড়েও কথা বলি না। আপনারা আগে মেরে আসুন, কাউকে ক্ষমা করবেন না। যদি আপনারা সত্যি কারোর বাপের ব্যাটা হন তাহলে তা করে দেখাবেন। আর যদি তা না করেন, তাহলে আপনারা বিজেপি করবেন না। আমি স্পষ্ট কথা বলতে ভয় পাই না।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমকে জেল খাটতে হচ্ছে, এর তো কে ছার। দুর্গাপূজার সময় তৃণমূলের বেশকিছু নেতাকে জেলের মধ্যে থেকে পুজো দেখতে হবে। আর কেউ তা বাঁচাতে পারবে না। টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে, শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সিবিআই যদি দিল্লী থেকে চেন্নাইতে গিয়ে চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারে।তাহলে দিল্লী থেকে কলকাতায় গিয়ে চোরেদের গ্রেফতার করতে বেশি সময় লাগবে না।”

তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিদিমণি ভোট লুঠ, ছাপ্পা, খুন, সন্ত্রাস করে ভোটে জিতেছে। এবার উনি বলেছিলেন বিয়াল্লিশে 42। কিন্তু কি হল উল্টে গিয়ে হয়ে গেল বাইশ। হেরে যাওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। ইভিএমে হোক আর ব্যালটে হোক ভোট, বিজেপি জিতবেই বলে মন্তব্য আত্মবিশ্বাসী দিলীপের।

আরও পড়ুন-চাঙ্গা অর্থনীতি চায় RBI, কেন্দ্রের কোষাগারে 1.76 লক্ষ কোটি ঋন অনুমোদন

Previous articleচাঙ্গা অর্থনীতি চায় RBI, কেন্দ্রের কোষাগারে 1.76 লক্ষ কোটি ঋন অনুমোদন
Next articleঅমিত শাহের বিমান ওড়াতে চেয়ে ভুয়ো ই-মেল