চিদম্বরমের জামিন খারিজ করা বিচারপতি অবসর নিতেই নতুন দায়িত্বে আনলেন মোদি

বিষয়টা স্পষ্ট হচ্ছে। অঙ্কটাও সহজ হচ্ছে।

দিনকয়েক আগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের জামিনের আর্জি খারিজ করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌড়। তিনি অবসর নিয়েছেন সবে 23 আগস্ট। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে “অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ফর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট”-এর চেয়ারম্যান করে দিলো নরেন্দ্র মোদি সরকার।

বিচারপতি সুনীল গৌড় বলেছিলেন, “INX মিডিয়া কেসে চিদম্বরমকেই ‘কিংপিন’ বলে মনে হচ্ছে। একে টাকা তছরুপের ‘ক্ল্যাসিক কেস’ বলা যেতে পারে।” জামিনের আর্জি খারিজ করে তিনি বলেছিলেন, “চিদম্বরমকে জামিন দিলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে”।

আরও পড়ুন-চিদাম্বরম নিয়ে কড়া সওয়াল কপিল সিব্বলের

শুধু চিদম্বরমের মামলা নয়, আরও একটি হাই প্রোফাইল মামলা ছিলো বিচারপতি গৌড়ের এজলাসে। তাতে অভিযুক্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরী। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কেলেংকারিতে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও বিচারপতি গৌড়ের এজলাসে নাকচ হয়ে গিয়েছিল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন প্রধান সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অনুমতি দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গৌড়-ই । গত বছর ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে তাদের দিল্লি অফিস খালি করে দিতে হবে। গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় স্থগিত রেখেছে।

2008 সালের এপ্রিলে গৌড় হাইকোর্টের বিচারপতি হন। তাঁর এজলাসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়েছিল। মাংস রফতানিকারী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের মামলাও তিনি শুনেছিলেন। দিল্লি হায়ার জুডিশিয়াল সার্ভিসে তিনি যোগ দেন 1995 সালে।

আরও পড়ুন-চিদাম্বরমকে সোমবার ফের তোলা হবে CBI আদালতে, জামিন পাওয়া অনিশ্চিত

 

Previous articleওরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্ট চায়: ছাত্র সমাবেশ থেকে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
Next articleছাত্র-যুবদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে বৈঠকে বসছেন মমতা