ওই দেখুন রাজ্যপাল হাত ধরে আমার রাজ্যের

ওই দেখুন রাজ্যপাল হাত ধরে আছে আমার রাজ্যটার। আমার ছেলেবেলার। ওই তো যাদবপুর, হুডখোলা জীপ থেকে সাদা চুলের হাত নাড়া, টাটা সেন্টার থেকে হাত উঁচু করে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ বলা। ওই তো নস্টালজিয়ার সেই ভদ্রলোক বাঙালিয়ানা, ওই তো আমার রাজ্যে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে, ওই তো বাংলার আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা। কারখানাগুলো খুলতে শুরু করছে, টাটা বিনিয়োগ করে ফেলেছে, এদিক ওদিক খবর চলে গেছে- বাংগাল মে ফির সে বড়া কুছ হোনে ওয়ালা হে।

এই দেখুন আমার রাজ্যের ছবি। জরাজীর্ণ, রোগাক্রান্ত, অন্ধত্ব বিস্তার করছে শিরা উপশিরায়। এখন আর শিল্প আসেনা। টাটা কারখানাতে ধান বোনা হয়নি আর, গোটা শহর রঙ করা হয়েছে, আলো লাগানো হয়েছে। আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা ফিরে ফিরে আসবো বলে কয়েকদিনের জন্য৷ বৃদ্ধাশ্রমে এসে হাত ধরবো আমার শহরের, আমার খয়েরি হতে থাকা মহানগরের।

লোকটাকে জেলে পাঠানোর কথা ছিল নাকি। আট বছর আগে সেই প্রতিশ্রুতিই তো দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল হাজারে হাজারে লাশ নাকি হলদি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ সিবিআই, সিআইডি, মন্ত্রী, সন্ত্রী, দিদি, ভাইপো- সব্বাইকে ক্লিনচিট দিতে হয়েছিল৷ বুদ্ধবাবু ভুল ছিলেন না।

আজ যখন অনেক অনেক মাইল দূর থেকে এই ছবিটা দেখছি, ওটা একটুকরো ছবি আমার রাজ্যেরই মনে হচ্ছে যেন। কিংবা হয়তো এতোগুলো বেকার ছেলেমেয়ে, চাকরির জন্য বাইরে চলে যায় যে ছেলেমেয়ে, টাটাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ও বেকার হয়ে যাওয়া ছেলেমেয়ের গ্লানির রঙ ওটা?

সাদামাটা এই ঘর, ওই যে বই আর ছবিগুলো, মেঝের লাল আর রোগগ্রস্ত এই মানুষটা বারবার আমাদের অপরাধী করে দেয়।

প্লিজ ভালো হয়ে উঠুন বুদ্ধবাবু!

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

Previous articleরবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দমদমে: সাতদিন দিদির দেহ আগলে ভাই
Next articleগির্জায় যিশু সাক্ষাতে গণপতি