রাত পোহালেই মরশুমের প্রথম ডার্বি। তাই ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে। দুই দলের অন্দরেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। টিকিট বিক্রি প্রায় শেষের পথে। অবশ্য বলা ভাল রবিবাসরীয় ডার্বির টিকিট নিয়ে দেখা দিয়েছে হাহাকার। অনেকেই টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে রয়েছে একগুচ্ছ চমক। এই প্রথম ডার্বিতে টস হবে স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে। ইতিমধ্যেই সেই কথা আইএফএ-র তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রয়েছে আরও এক চমক। ডার্বিতে এবার বাঁশি বাজাবেন কৃষ্ণ।

অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কোন কৃষ্ণের কথা বলা হচ্ছে। এ কৃষ্ণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নন। ইনি সি আর কৃষ্ণ। ভারতীয় ফুটবলের রেফারি হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে তাঁর।

2011-12 সালে এআইএফএফ-এর সেরা রেফারি এবার বাজাবে ডার্বিতে বাঁশি। যুবভারতীতে রবিবাসরীয় ডার্বিতে রেফারির ভূমিকায় দেখা যাবে এবার তাঁকে। ফুটবলের পাশাপাশি দক্ষ রেফারি হিসেবেও ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে কৃষ্ণর।

2008 সালে আই লিগে প্রথম রেফারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে কৃষ্ণর। যদিও তার আগে চেন্নাই সুপার লিগে তিনি রেফারি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তবুও আই লিগ দিয়েই মূলত তার রেফারির কেরিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে, তা বলাই যায়। এরপর একের পর এক ফুটবল লিগে তিনি রেফারির ভূমিকা পালন করেছেন।


2015 সালে 20 ডিসেম্বর এআইএফএফ-এর বর্ষসেরা রেফারির খেতাবও জেতেন তিনি। এবার সেই কৃষ্ণই ডার্বিতে রেফারি হয়ে বাঁশি বাজাতে চলেছেন।
