দেখে নিন চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের কাজ কী?

চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে ল্যান্ডিং করার কয়েক ঘণ্টা পর চাঁদে ধুলোর ঝড় থেমে সূর্যের আলো ফুটলে শনিবার ভোরে বিক্রমের পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। আগামী 14 দিন ধরে গবেষণামূলক সমস্ত কাজকর্ম করবে এই কৃত্রিম মেধাচালিত যন্ত্র প্রজ্ঞান। বলা ভাল, চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর সিংহভাগ দায়িত্ব রোভার প্রজ্ঞানেরই। লুনার সারফেস বা চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে ঘুরে আসল কাজ করবে এই রোবটচালিত যন্ত্রগাড়িই।

মাত্র 27 কিলোগ্রাম ওজনের প্রজ্ঞান দেখতে ছোট গাড়ির মত। এর নীচে ছটি চাকা ও মাথার উপরে সোলার প্যানেল। ল্যান্ডারের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসার পর সোলার প্যানেল খুলে যাবে এবং তাতে সূর্যালোক পড়ে সৌর বিদ্যুৎ তৈরি হবে। একবারে 50 ওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারবে প্রজ্ঞান, যা দিয়ে চাঁদের মাটিতে চলাফেরা ও ছবি তোলার কাজ করবে সে। প্রায় 500 মিটার চলতে পারবে প্রজ্ঞান। এর চলাফেরার দিক নির্ণয় করবে দুদিকের দুটি নেভিগেশন ক্যামেরা। সোলার প্যানেলের উপরে লাগানো ট্রান্সমিট অ্যান্টেনার মাধ্যমে প্রজ্ঞান অরবিটার বা কক্ষযানে তথ্য পাঠাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে কোন খনিজ উপাদান কত পরিমাণে আছে তা পরিমাপ করবে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে লোহা, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়ম, ম্যাগনেশিয়াম আছে কিনা দেখবে রোভার। চাঁদে জলের সন্ধানেও নামবে প্রজ্ঞান। কাজ শেষ হলে চন্দ্রভূমিতেই ‘স্বাভাবিক-মৃত্যু’ হবে রোভার প্রজ্ঞানের।

 

Previous articleদিনদুপুরে খড়গপুরে চললো গুলি! তারপর?
Next articleগৌতম কুণ্ডু’র চিঠিতে রাতারাতি সরানো হলো রোজভ্যালির তদন্তকারী অফিসারকে