কবর খুঁড়ে বিড়ম্বনা, রোহিতের স্ত্রীকে নিয়ে ডেটিংয়ে কোহলি!

রোহিত শর্মার ক্ষেত্রে বলাই যায়, “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে”। আর বিরাট কোহলির তো এক্কেবারে “গোদের উপর বিষফোঁড়া”-র মতো।

তবে প্রথমেই একটি আশঙ্কা দূর করা প্রয়োজন। শিরোনামে যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তা কিন্তু বছর ছয়েক আগের মশলা। বর্তমানে আড়ালে-আবডালে এ রকম কিছু রয়েছে বলে কোনও খবর নেই। অনুষ্কা এবং ঋতিকাকে নিয়ে সুখেই আছেন ভারত অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক।

এমনিতে বাইশ গজের দুনিয়ায় ‘অফ দ্য ফিল্ড’ রঙিন গল্পের অভাব নেই। আর তার উপর যদি ক্রিকেটারের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকার কোনও মশলা মাখানো খবর শিরোনামে জায়গা পায়, তাহলে তো কেল্লাফতে! ক্রিকেটপ্রেমীরা কতই বা স্কোরবোর্ড আর ক্রিকেটীয় অ-আ-ক-খ নিয়ে গপ্পো করবেন! একটু ড্রইংরুম ছেড়ে বেডরুমের দেওয়ালে কান পাতলে কি এমন আর অপরাধ!

স্ত্রী, বাগদত্তা কিংবা প্রেমিকা তো পরের কথা, তখনও রোহিত শর্মার সঙ্গে ঋতিকা সাজদেহর সামান্যতম বন্ধুত্বও গড়ে ওঠেনি। 2015-র এপ্রিলে রোহিত-ঋতিকার ‘এনগেজমেন্ট’ আর দু’জনের বিয়ে সে বছর ডিসেম্বরে। আর কোহলি-ঋতিকার ডেটিং তারও বছর দু’য়েক আগে। 2013-তে। এবার সরল চাউনিতে প্রশ্ন উঠতেই পারে, ওঁরা ডেটিংয়ে গিয়েছেন তো কী হয়েছে ? দু’জনের কেউই তখনও বিয়ে করেননি। প্রেমও হয়নি রোহিত-ঋতিকার। আত্মপ্রকাশ ঘটেনি বিরুষ্কা জুটিরও।

নেটিজেনরা যা-ই ভাবুন, কোহলি-রোহিত দ্বন্দ্ব যখন প্রকাশ্যে, যখন ইনস্টাগ্রামে বিরাটকে ‘আনফলো’ করছেন রোহিত, যখন সে কলহ আড়াল করতে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে আসরে নামছেন রবি শাস্ত্রী, তখন হঠাৎ কবর খুঁড়ে কোহলি-ঋতিকার ‘ডেটিং’ কিন্তু দুই পরিবারের কপালে ভাঁজ ফেলবেই। সে যতই ক্রিকেটীয় আহ্লাদে গদগদ হয়ে শাস্ত্রী বলুন না কেন, “মতপার্থক্য মানেই সংঘাত নয়।” এ সবে কি আর চিঁড়ে ভেজে মিস্টার কোচ!

কোহলি-রোহিত কলহের নেপথ্যে বরাবরই দু’টি কারণ লাইমলাইটে। প্রথমত, বহুদিন ধরেই বেশ কিছু ইস্যুতে দু’জনের মতপার্থক্য। দ্বিতীয়ত, বিশ্বকাপে ধোনিকে সাত নম্বরে ব্যাট করানো নিয়ে বিরোধ। তবে সে সব ছাপিয়ে আপাতত ক্রিকেটীয় উপগ্রহের পুরোদস্তুর ফোকাসে বিরাট-ঋতিকার ‘ডেটিং’।

ঠিক কী রকম ছিল বিষয়টি ?

সম্প্রতি ‘ডেকান ক্রনিকল’-এর একটি প্রতিবেদন নতুন করে গরম করেছে কোহলি-রোহিত বিতণ্ডাকে। সেখানে সাফ লেখা হয়, 2013 সালে জিম্বাবোয়ে সফর থেকে ফিরে ছুটি কাটাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। সে সময় হঠাৎই একদিন তাঁকে একটি মেয়ের সঙ্গে সিনেমাহলে ঢুকতে দেখা যায়। সেই অপরিচিত মেয়েটি আর কেউ নন, ঋতিকা সাজদেহ। কোহলি লেন্সবন্দি হলেও ঋতিকা পোজ দিতে ইতস্তত-ই করেছিলেন। নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় ঋতিকা ‘স্পোর্টস ট্যালেন্ট ম্যানেজার’ হিসেবে কর্মরত। জানা যায়, 2010 আইপিএল-এর সময় বিরাটের সঙ্গে আলাপ ঋতিকার। তবে 2013-তে কোহলি ও ঋতিকা দু’জনেই নিজেদের ‘বন্ধু’ বলেই মেলে ধরার চেষ্টা করেন।

বছর ছয়েক পরে কবর খুঁড়ে ফের প্রকাশ্যে সেই ছবি। সেই ডেটিং। সেই খবর। তাও এমন একটা সময় যখন রীতিমতো আমাজনের আগুনের থেকেও যেন প্রখর-প্রকট বিরাট-রোহিত কলহের দহন।

রটনা হোক বা ঘটনা, রোহিত নিশ্চয়ই জানতেন কোহলি-ঋতিকা সে ‘বন্ধুত্ব’। হয়তো এতদিন সে ক্লেশ বালিশ চাপা দিয়ে রেখেছিলেন। আজ ফের “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে” লেগেই গেল। আর ক্যাপ্টেন কোহলির “গোদের উপর বিষফোঁড়া” তো বটেই। একে দু’জনের বিবাদ নিয়ে মাঝেমধ্যেই কাঠগড়ায় অধিনায়ক, এখন আবার পুরনো ‘ডেটিং’ দাঁত বের করে অট্টহাসি হাসছে।

ব্যাঙ্গের না বিদ্রুপের সে হাসি কে জানে! তবে বিড়ম্বনার তো বটেই।

আরও পড়ুন-বদল হচ্ছে কলকাতা পুলিশের STF-এর নাম

 

Previous articleউন্নাওতে এইচপির গ্যাস প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ
Next articleBreaking #ফের দুদিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘট