বিতর্ককে পেছনে ফেলে কালীঘাটকে হারিয়ে ফের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল-4              কালীঘাট-2

বৃহস্পতিবারের দিনটা মেরিনার্সদের জন্য ভাল না হলেও ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন ছিল ইস্টবেঙ্গলের ওপর। আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল পিয়ারলেসের কাছে। ঘরের মাঠে সেই হারের জেরে রীতিমতো বিতর্কও কম হয়নি। রেফারি নিগ্রহের ঘটনায় নির্বাসিত হতে হয় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক লালরিনডিকা রালতে ও মেহতাব সিংকে। কিন্তু পরের দিন সেই মাঠেই ফুল ফোটালেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কালীঘাটকে 4-2 গোলে পরাস্ত করল ইস্টবেঙ্গল।

যদিও, এদিন ম্যাচের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। কর্দমাক্ত মাঠে ম্যাচের শুরুর দিকে বেশ বেগ পেতে হয় লাল-হলুদ ফুটবলারদের। ম্যাচের 37 মিনিটে কালীঘাট মিলন সংঘ এক গোলে এগিয়ে যায়। কালীঘাটের সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। মিনিট চারেক পরই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরান বিদ্যাসাগর সিং।

দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আলেসান্দ্রোর ছেলেরা। 60 মিনিটের মাথায় পিন্টু মাহাতোর শট বের করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন কালীঘাটের ফুটবলার। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ মিনিট বাদে ফের জুয়ান মেরার থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু তিনি গোল করতে না পারলেও ফিরতি বলে গোল করেন কোলাডো।

82 মিনিটের মাথায় রাকেশ পাসওয়ানের গোলে ব্যাবধান কমায় কালীঘাট। অবশ্য পরের মিনিটেই ফের বাজিমাত মশাল বাহিনীর। বোরহা গোমেজের লং বল ধরে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কোলাডো। শেষ পর্যন্ত 4-2 ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছাড়লেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এই জয়ের ফলে আগের ম্যাচের বিতর্কে কিছুটা হলেও জল ঢালল আলেসান্দ্রোর ছেলেরা।

Previous articleকোলে করে যাত্রীদের নামাতে হল, ঠিক কী হয়েছিল কোন্নগর স্টেশনে?
Next articleঢিলেমি রুখতে হেল্পলাইন