আদালতে এক অন্য ‘চায়েওয়ালা’

দু’হাজার চোদ্দো থেকে দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত চর্চিত ‘চায়েওয়ালা’। বারবার প্রসঙ্গ উঠেছে চা-বিক্রেতার দেশের প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার কাহিনি। তবে, সেই তথ্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধিতা। কিন্তু এখন যাঁকে নিয়ে আলোচনা, তাঁর জীবিকা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।

শ্রীরামপুর আদালতে আইনজীবী সেরেস্তার পাশে অস্থায়ী চায়ের দোকান ছিল গোপাল চক্রবর্তীর। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত তাঁর ছেলে বুদ্ধদেব। সংসার চালাতে দোকান সামলানোর সম্পূর্ণ দায় তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। দোকান চালাতে গিয়ে অনেক সময় স্কুলে যেতে পারেনি, ক্ষতি হয়েছে লেখাপড়ার। প্রতিকূলতা পেরিয়ে ভদ্রেশ্বরের সুকান্ত কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি।

কিন্তু ছোটবেলা থেকেই কালো কোট পরা মানুষগুলির সঙ্গে থাকতে থাকতে এই পেশাটাকেই ভালবেসে ফেলেছিলেন বুদ্ধদেব। সেই স্বপ্ন পূরণে পাটনার রঘুনাথপ্রসাদ শর্মা ল’কলেজে ভর্তি হওয়া হন তিনি। আইন পাশ করা পর্যন্ত শ্রীরামপুর আদালতের বিচারক থেকে আইনজীবীরা প্রত্যেকেই তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। আইনের বই কেনা থেকে কলেজের ফি দেওয়া, সব সময়ই পাশে পেয়েছেন সকলকে। এতদিন আদালতের যে এজলাসে, সেরেস্তায় ঘুরে ঘুরে সারাদিন চা বিক্রি করতেন বুদ্ধদেব চক্রবর্তী, এখন সেখানেই তিনি আইনজীবী। হাতে চায়ের কেটলি, কাপের বদলে দলিল, দস্তাবেজ। ছেলের স্বপ্নপূরণে আপ্লুত বৃদ্ধ বাবা-মা। গর্বিত শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবীরাও।

আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি, তারপর দুই সঙ্গীর প্রাণ যেতেই সাদা পতাকা তুলে পগারপার পাক সেনা

 

Previous articleযুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি, তারপর দুই সঙ্গীর প্রাণ যেতেই সাদা পতাকা তুলে পগারপার পাক সেনা
Next articleসৌদি আরবের জ্বালানি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা