রাজ্যসভা থেকে কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ মেলেনি, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদরা কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেলেন না। প্রথম মোদি সরকারের সময়ে রাজ্যসভায় একটিমাত্র স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ পেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তিনি ছিলেন পরিবহণ ও সংস্কৃতি মন্ত্রক সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু এবার ডেরেককে সরিয়ে পরিবহণ ও সংস্কৃতি মন্ত্রক সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে অন্ধ্রের এক বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদকে। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদদের একটিও চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকারের দফতর এই কমিটি ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন – মাঝরাতে ছিনতাইবাজের হামলা, মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের 13 জন সাংসদ। অথচ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের একটিও পদ না দেওয়ায় শাসক দলের আচরণ হতাশাজনক বলেই মন্তব্য করেছে তৃণমূল সাংসদরা। অথচ রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে সদস্য অনেক কম থাকা সত্ত্বেও জগন্মোহন রেড্ডির YSR কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং তেলঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির সাংসদরা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের 13 জন সাংসদ রয়েছে। জগন্মোহনের দলের রয়েছে 2 জন সদস্য, TRS-এর 6 জন এবং সমাজবাদীর 9 জন। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্বও একাধিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে জয়রাম রমেশকে। শশী তারুর হয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান।

শুক্রবার সব ক’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির নতুন সদস্য ও চেয়ারম্যানের নাম যে ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেল থেকে সরিয়ে খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। গোটা ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল। দলের একাধিক সাংসদ বলেছেন, সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি।

আরও পড়ুন – রাজীব না এলে অপেক্ষা না অভিযান, বৈঠকে সিবিআই