আরমকো তেল প্রকল্পের উপর শনিবার হামলা হয়েছিল । সৌদি আরবের পূর্ণ তেল সরবরাহের সক্ষমতা ফিরে আসতে ‘বেশ কয়েক সপ্তাহ’ সময় লাগতে পারে বলে রবিবার জানা গিয়েছে ।

আবাকাইক ও খুরাইসে হামলার ফলে সৌদির জ্বালানি তেল উৎপাদনের পরিমাণ প্রতিদিন 57 লক্ষ ব্যারেল (বিপিডি) কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার প্রথম হামলাটি হয় দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আবকাইকের তেল উৎপাদন কেন্দ্রে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদন কেন্দ্র এটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় এই কেন্দ্রে। মুহূর্তের মধ্যে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি হামলা হয়। এ বার হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিমাঞ্চলের খুরাইসের তেলখনি। সেখানেও দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে আগুন।
সেই আগুন এখনও জ্বলছে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে । একই সঙ্গে মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ। গত শনিবার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি যে মোটের উপর ভালো নয়, রবিবার তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা অনুযায়ী উত্তোলনে সক্ষম হবে না আরমকো। অন্য দিকে এই হামলার জেরে ক্ষতির উপর ভিত্তি করেই বিশ্ববাজারে তেলের দর নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল ।

