‘অনুপ্রবেশকারীদের স্থান নেই বাংলায়’, পদ্মশিবিরে গিয়েই সরব সব্যসাচী

দলে যোগ দিয়েই এনআরসি নিয়ে বিজেপির সুরে সুর মেলালেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দাবি, ভারতীয়রা থাকবেন কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের কোনও স্থান নেই বাংলায়। জল্পনা ছিল অনেক দিনই। বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। গত কয়েকদিন ধরে সেই খবরে সিলমোহরও পড়ে। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত। দলে যোগ দিয়েই হেভিওয়েট সভায় বক্তৃতা দিলেন তিনি। আর বলতে উঠেই নরেন্দ্র মোদিকে দেশ গঠনের জন্য ধন্যবাদ দিলেন এক সময়ের ঘাসফুলের দক্ষ সংগঠন। বিদেশের মাটিতে এই প্রধানমন্ত্রীর জন্যেই ভারতের সম্মান বৃদ্ধি হয়েছে বলেও দাবি করেন সব্যসাচী।

অতিথি আপ্যায়ন বাংলার ঐতিহ্য বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, বিধাননগরের বাসিন্দা হিসেবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অনেক সময়ই তাঁর এলাকায় চা খেতে যান। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় গিয়েছিলেন সব্যসাচীর বাড়ি। সেখানে তাঁর লুচি-আলুর দম খাওয়া নিয়ে রাজনীতিতে জলঘোলা কম হয়নি। পরে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যও রাখেন দুজনে। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকেই প্রকাশ্যে চলে আসে বিধাননগরের পুরসভার মেয়রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব। সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কাউন্সিলররা। নিজের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন সব্যসাচী। আশা ছিল শেষ মুহূর্তে পাল্টে যাবে পাশা, এমন দাবিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু পাল্টায়নি। পদ হারিয়ে শুধুমাত্র সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষ্যে যজ্ঞ করেন সব্যসাচী। তৃণমূলের সঙ্গে তার ব্যবধান আরও বাড়ে। এরপরেই ইনডোর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিজেকে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী হিসেবে দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, অতিথি আপ্যায়নে যাঁরা বাধ সাধেন তাঁরা অন্য গ্রহের প্রাণি।

আরও পড়ুন-আবার দামবৃদ্ধি রান্নার গ্যাসের

Previous articleরাজীব মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই
Next articleএনআরসির প্রতিবাদে অমিত শাহর সামনে বিক্ষোভ! আটক বাম নেতা