নোবেলের ইতিহাস ও তার বিরোধিতা! যা আপনাকে জানতেই হবে

চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল মৃত্যুর আগে যে দানপত্র বা উইল করে গিয়েছিলেন, তা প্রকাশের পর অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। এমনকি এই উইলের বিরোধিতা করেছিলেন সুইডেনের তৎকালীন রাজা।

বিজ্ঞানী নোবেল ছিলেন নিঃসন্তান। পরিবারের অন্য সদস্যরা নোবেলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন। তাঁর দুই ভাইপো তো উইলটি পাল্টে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। তৎকালীন সুইডেনের রাজা দ্বিতীয় অস্কার বলেছিলেন, বিজ্ঞানী নোবেল দেশপ্রেমিক ছিলেন না।

নোবেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরির আরেক কারণ হলো, ১৮৮৫ সালের ওই উইলে তিনি উল্লেখ করে যাননি, কোন প্রতিষ্ঠান বা কারা পুরস্কারটি দেবে। তবে তিনি বলেছিলেন, তাঁর সম্পদ ব্যয় হবে ‘নিরাপত্তা সুরক্ষা’ দেওয়ার জন্য। উইলে আরও বলা হয়েছিল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা অবদান’-এর জন্য এবং অসামান্য অবদানের জন্য সাহিত্যে সমান পুরস্কার দেওয়া হবে। আর মানবকল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেওয়া হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।

আলফ্রেড নোবেলের সম্পদ থেকে পাওয়া প্রায় ২২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়ে তাঁর মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর গড়ে তোলা হয় নোবেল ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয় চারটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। তারা দেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল। সুইডিশ একাডেমি দেখবে সাহিত্যের নোবেল। রয়্যাল একাডেমি দেবে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল। আর নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি দেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।

১৯০১ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতেও নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এই পুরস্কারের অর্থ দেয় সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কটি তাদের ৩০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।

Previous articleমহাবিশ্বের বিবর্তনে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য পদার্থে নোবেল পেলেন এই তিন বিজ্ঞানী
Next articleদুর্গোৎসবের শেষেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি