ট্রেন রুট বেসরকারিকরণের পর এবার রেলের জমি যাচ্ছে প্রমোটারদের হাতে

বেসরকারিকরণই আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র। সরকারি সংস্থা চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়ে রেল বেসরকারিকরণে কোমর বেঁধে নামল বিজেপি সরকার। রেলের ১৫০টি রুট স্টেশন বেসরকারি হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। এবার রেলের অব্যবহৃত জমি প্রমোটারদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক। প্রথম জমি বিক্রি করা হবে দিল্লি আর কানপুরে। রেল অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির দাবি অব্যবহৃত জমি চড়া দামে বিক্রি করলে কিছুটা আর্থিক সুরাহা পাওয়া যাবে। আবাসন নির্মাণে যথেষ্ট ক্রেতা মিলবে বলেই আশা। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য আবাসনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ফলে এক ঢিলে দুই পাখী মারা সম্ভব হবে।

কোন জমি বিক্রি হবে? নয়াদিল্লির অশোক বিহারের ১০.৭৬ হেক্টর, করোল বাগে ১৫.২ হেক্টর, কানপুরের গোয়ালতলির ১.৪৮ হেক্টর ৯৯ বছরের জন্য ব্যবসায়ীদের হাতে দেওয়া হবে। তিনটি প্রকল্পে রেলের আয় হবে ৩,২০৪ কোটি টাকা। যে সংস্থা জমি কিনে আবাসন করতে চায়, তাদের ২১ অক্টোবর দরপত্র বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। রেল ও সরকারি কর্মী ছাড়াও আমজনতা এখানে আবাসন কিনতে পারবেন। ১৫% আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত থাকবে। আর আবাসন সংস্থা ১৫% ফ্ল্যাট নিজেদের দরে বিক্রি করতে পারবে। প্রশ্ন হল, মন্দায় চলা আবাসন শিল্প এখন ধুঁকছে। জিএসটি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। কতজন তারপরেও এগিয়ে এসে বিনিয়োগ করবেন! প্রথমে লালুপ্রসাদ ও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পিপিপি মডেলে রেলের জমিতে কারখানা, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নেন, তৈরি হয় রেল অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি। কেন্দ্রের বক্তব্য, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার তা হবে।

Previous articleনভেম্বরে ব্রিগেডে জনসভা করতে পারেন মোদি
Next articleকার্বাইন হাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ছেলের ছবি ভাইরাল, বিতর্ক শুরু