মোদি-শি ঘরোয়া বৈঠকে চিনের কাশ্মীর প্রশ্নে জল ঢালতে তৈরি ভারত

পাকিস্তানের কাশ্মীর ছাড়া অন্য ইস্যু নেই। দুর্বল পাক অর্থনীতি, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে লাগামছাড়া মদতের নেতিবাচক ভাবমূর্তিকে ঢাকতে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের একমাত্র বাজি কাশ্মীর। সেজন্য বেজিংয়ে গিয়েও কাশ্মীর ইস্যুতে চিনের সমর্থন চেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানকে নিরাশ করেনি চিনও। আর এই প্রেক্ষাপটেই দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়কে সামনে রেখে আজ তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে আসছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খোলামেলা ঘরোয়া বৈঠকে বসবেন তিনি। আন্তরিক পরিবেশে আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও সংঘাতের ক্ষেত্র প্রশমন মূল লক্ষ্য। চিনের উহানের পর ভারতের মমল্লপুরমে দুই রাষ্ট্রনেতার ঘরোয়া বৈঠকের দ্বিতীয় পর্ব ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে। বৈঠককে কেন্দ্র করে ভারত একইসঙ্গে উৎসাহিত এবং সতর্ক। পাকিস্তানকে খুশি করার চেষ্টায় চিন কাশ্মীর ইস্যুতে আগ্রহ দেখালে নিশ্চিতভাবেই ভারত তাতে জল ঢালতে তৈরি। কারণ কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও 370 ধারা রদ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। হংকং ও তিব্বত ইস্যুতে ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চিন যখন এমনিতেই বেকায়দায়, তখন তারা কাশ্মীর চুলকে বাড়তি ঘা করবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠলে তার যথাযথ জবাব দিতেও তৈরি ভারত।

এবারের মমল্লপুরম বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নত করে নিজেদের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করবে ভারত। চিনের বাজারকে ভারতীয় পণ্যের জন্য খুলে দিতে শি-কে অনুরোধ করতে পারেন মোদি। এছাড়া সন্ত্রাস মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য চিনকে পাশে চাইবে ভারত।