তরাইতে গোঁফ দিয়ে যায় চেনার মুখোমুখি সুদীপ

সবে পুজোয় যাদবপুরে সিপিএমের স্টলে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার রেকর্ড বই বিক্রি করে কদিনের ছুটিতে সপরিবার জলপাইগুড়ি আর ডুয়ার্সে গেছেন সুদীপ সেনগুপ্ত। সেখানেই বিশাল গোঁফের মুখে।

সুদীপের নিজের কথায়,” তিস্তা পাড়ে হঠাৎ ই দেখা পেলাম তাঁর।

শ্রী অশোক পাসওয়ান!

চা বা কফির সন্ধানে,
বাঁধ ধরে হাঁটতে হাঁটতে,
আমি আর অনল তখন খানিকটা এগিয়ে গিয়েছি,
সুনীতা,নেহা,মান্ডবী,দিদিভাই, তিতি রা
পিছনে আসছে,
তাঁকে দেখে, এগিয়ে গিয়ে আলাপ করতেই, পকেট থেকে অনেকগুলো ছবি বের করে দেখালেন।

বিভিন্ন পোজে তোলা তাঁর বিচিত্র ‘মোচে’র ছবি!
তার সাথেই বেশ কিছু পেপার কাটিং।

প্রায় সবকটিতেই তাঁর মোচের
ভরপুর প্রশংসা,
কোনো টির শিরোনাম-
‘মোচ দিয়ে যায় চেনা!’
কোনোটিতে আবার লেখা-
‘আজব মোচের কাহিনী”,
‘মোচ দিয়ে বিহার-বাংলা কে একসাথে বাঁধলেন অশোক!’
ইত্যাদি ইত্যাদি…

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী,
নিজেকে ‘পুঁজিপতি মোচওয়ালা’ বলে
বর্ণনা দিতে ভালো বাসেন!
কারণ জানতে চেয়ে বোঝা গেলো,
ওনার মোচের গোড়ায়,
গালের দু দিকেই, দুইটি সোনার রিং,
দাম নাকি কুড়ি হাজার টাকা!!

কথায় কথায় অশোক বাবু জানালেন,
কলকাতায় তিনি এসেছিলেন ঠিকই,
কিন্তু কলকাতার মহিলাদের তাড়নায় ঘর ছেড়ে বিশেষ বাইরে পা দিতে পারেন নি।

যেখানেই দেখা হয়েছে,
দলে দলে মহিলারা নাকি ওনার সাথে সেলফি তুলতে ভীড় জমিয়েছেন,
অনেকেই নাকি মোচ দুটিকে টেনে টেনে পরখ করেছেন, ও দুটি আসল কিনা!!

আমাদের সাথে অবশ্য
হাসি মুখে ছবি তুললেন,
ছবি তোলার আগে
বেশ খানিকটা সময় ধরে,
মোচে ‘তা’ দিয়ে নিলেন!!

জানালেন, এখনও বেশ কয়েকটা দিন
তিনি থাকবেন, জলপাইগুড়িতে,
বড়ো মেয়ের বাড়িতে!
তাঁর ছেলেরা কেউ মোচ রাখেন নি
ওনার মতো,
সেই দুঃখমোচনে তিনি এসেছেন,
দশ বছরের নাতিকে
মোচের মাহাত্ম্য বোঝাতে!!
ভবিষ্যতে সে যেন মোচ রেখে
পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রাখে!!

কলকাতা থেকে এখন কেউ আসলে
বিকেলবেলা তাঁর দর্শন পেতে পারেন!!

তাই এই লেখা পড়ে চলে আসুন,
জলপাইগুড়ি –
তিস্তার পাড়ে অপূর্ব সুন্দর কাশবন
আর…
অশোক বাবুর সাথে দেখা করতে!!!”

Previous articleবাংলায় দিল্লির হস্তক্ষেপ চাই, রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রীয় বিজেপি
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ