এলাকার উন্নতির আশা নিয়ে সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরির উদ্যোগ হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই মতে 34 বছরের বাম জমানার পতনের মূল কারণ সিঙ্গুরের কারখানা এবং তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা সিঙ্গুর আন্দোলন। বাংলায় ধুয়ে মুছে গিয়েছে লালেরা। রাজ্যে এখন ঘাসফুলের দাপট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অনিচ্ছুক কৃষকরা তাঁদের জমি ফিরে পেয়েছেন। তাহলে কি ফসল ঘরে তোলার আনন্দে তাঁদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা? কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন সিঙ্গুর কিন্তু সে কথা বলছে না। সেখানে বেশিরভাগ ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা হচ্ছে না। কারণ কৃষকদের মতে এখানে এখন অলক্ষ্মীর বাস।
400একর জমি নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন। টাটার ন্যানো কারখানার জন্য দুর্গাপুর হাইওয়ের পাশে অবস্থিত সেই জমির ৬০০ একর জমি দিতে আগ্রহী হলেও বাকি ৪০০ একরে বাধ সাধেন অনিচ্ছুক কৃষকরা। সেই লড়াই আজ ইতিহাস। শীর্ষ আদালতের রায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জমি ফেরত পেয়েছেন চাষীরা। ফেরত দেওয়া জমিতে কি সত্যিই চাষ হচ্ছে? না, সে জমি চাষের যোগ্য নয় বলেই মত কৃষক এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের। সিঙ্গুরের বহু মানুষই কিন্তু আজ বলছে টাটার সঙ্গে-সঙ্গে সিঙ্গুরের লক্ষ্মীও চলে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেইসমস্ত মানুষদের বক্তব্য আজ সিঙ্গুরে অলক্ষ্মী বিরাজ করছে। যেদিন আবার লক্ষ্মী আসবে সেদিন ঘরে-ঘরে কমলালয়ার পুজো হবে। সেই কারণে কোজাগরীর আলোয় আলোকিত নয় সিঙ্গুরের মাটি। সেখানে শুধু অপেক্ষা নিজের বাড়ির ভাঁড়ারে লক্ষ্মীর অধিষ্ঠানের।