অমর্ত্যর মতোই দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে কাজ এনে দিল নোবেল

বাঙালির গর্বের দিন। বাংলার খুশির দিন। বাংলার অহঙ্কারের দিন। বাংলার শীর্ষে ওঠার দিন। বাঙালির বুক বাজিয়ে, সুর চড়িয়ে কথা বলার দিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেনের পর অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিতে এবার তিনজন একসঙ্গে নোবেল পাচ্ছেন। অভিজিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো এবং মিকেল ক্রেমার পৃথিবী সেরা পুরস্কার পেলেন। স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে নোবেল পাওয়া বিরল। সেক্ষেত্রে রেকর্ড করলেন অভিজিৎ-এস্থার।

অভিজিৎ-এস্থার-ক্রেমার-এর গবেষণার বিষয় হল ডেভলপমেন্ট ইকোনমিক্স। বহুদিন ধরে তিনজনে একসঙ্গে কাজ করছিলেন। অর্থাৎ শুধু থিওরি নয়, সমস্যা ধরে প্র‍্যাক্টিক্যাল সমাধান করা। দারিদ্র দূরীকরণ সেই থিওরই এনে দিল নোবেল।

অমর্ত্য সেনের ছাত্র অভিজিৎ এখন থাকেন আমেরিকায়। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর। তৈরি করেছেন আব্দুল লতিফ পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব।

জন্ম এই কলকাতার বালিগঞ্জে। বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রেসিডেন্সির অধ্যাপক। সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে পাস করে প্রেসিডেন্সিতে পড়াশোনা। স্নাতক ১৯৮১-তে, ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর গবেষণা করতে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৮-তে “এসেস ইন ইনফরমেশন ইকনমিক্স” নিয়ে ডক্টরেট। ইতিমধ্যেই আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স-এর ফেলো হন ২০০৪ সালে। পেয়েছেন ইনফোসিস প্রাইজ। ২০১২-তে গ্যেরাল্ড লোএব অ্যাওয়ার্ড আসে। স্ত্রীর সঙ্গে “পুওর ইকনমিক্স” বইয়ের কারনে। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন পরের বছর বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বারনার্ড হার্মস পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে সোশ্যাল পলিসি নিয়ে দেশে বক্তব্য রেখে যান। আর ২০১৯ সালের অক্টোবরে সস্ত্রীক নোবেল প্রাপ্তি।

Previous articleবাদুড়িয়ায় যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
Next articleনোট বাতিলের পথ ব্যর্থ হবে, মত অভিজিতের