নোবেলের ১১৮ বছরের ইতিহাসে অভিজিৎ-এস্থার ষষ্ঠ স্বামী-স্ত্রী জুটি

স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে নোবেলপ্রাপ্তি নোবেল ইতিহাসে কিছুটা বিরল বইকি। তবে এ বছর সত্যিই ব্যতিক্রম। মেডিসিনে অর্থাৎ চিকিৎসাশাস্ত্রেও স্বামী-স্ত্রী নোবেল পেয়েছেন। অভিজিৎ-এস্থা তাই বছরের দ্বিতীয় কাপল। তবে নোবেলের ১১৮ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনা বিরলতম।

স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে প্রথম নোবেল পান মারি কুরি ও পিয়েরে কুরি। বিজ্ঞানে পোলোনিয়ান আর রেডিয়াম আবিষ্কার তাঁদের হাত দিয়েই। সেটা ১৯০৩ সাল। আর মেরি হলেন প্রথম মহিলা নোবেল বিজেতা। কুরি পরিবারকে সকলে নোবেল পরিবার বলেই ডাকতেন। কারন, কুরি-কন্যা ইরেনে জোলিওট কুরি আর তার স্বামী ফ্রেড্রিরিখ জোলিওট ১৯৩৫ সালে নোবেল পেলেন একসঙ্গে। তাঁরাও বিজ্ঞানে পেলেন পৃথিবী সেরা পুরস্কার। তাঁদের পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয় ছিল নিউ রেডিও অ্যাক্টিভ আইসোটপস। তবে নোবেলের ইতিহাসে মা-মেয়ের প্রাপ্তি সেই প্রথম এবং শেষ।

জার্টি থেরেসা কোরি তৃতীয় মহিলা হিসাবে নোবেল পেলেন ১৯৪৭ সালে। আর প্রথম মহিলা যিনি পেলেন মেডিসিনে এই পুরস্কার। ফিজিওলজিতে স্বামী কার্ল ফার্দিনান্দ কোরির সঙ্গে নোবেল জয়। বিষয় ক্যটালিটিক কনভারসন অফ গ্লাইসোজেন।

একসঙ্গে না পেলেও সুইডেনের সমাজতাত্ত্বিক রাজনীতিবিদ আলভা মিরডাল ও তাঁর স্বামী গুনার মিরডাল নোবেল পেয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে গুনার পান নোবেলে শান্তি পুরস্কার। আর ১৯৭৪ সালে আলভা পান অর্থনীতিতে নোবেল।

আর এ বছর ২০১৯-এ মাত্র কয়েক দিন আগেই নোবেল ঘোষণায় নাম উঠে এসেছে নরওয়ের দম্পতি মেরি ব্রিট মোজার ও এডওয়ার্ড মোজার। তাঁরাও পেয়েছেন মেডিসিনে। সঙ্গে ছিলেন আর এক বিজ্ঞানী জন ও কিফি। তাঁদের আবিষ্কার মানুষের মস্তিষ্কে জিপিএস। যেটা নেভিগেটারের কাজ করে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার রোগ সারাতে যা কাজে দেবেবলে আশা।

এবং অর্থনীতিতে অভিজিৎ, এস্থার আর ক্রেমার। অভিজিৎ-এস্থা স্বামী স্ত্রী। তবে এস্থা অভিজিতের দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১৫ সালে অভিজিতের বিবাহ বিচ্ছেদের পর এস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।

Previous articleশিলিগুড়ির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
Next articleবাদুড়িয়ায় যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য