সুন্দরবন। স্ত্রীকে নিয়ে সত্যদাসপুর থেকে আড়াই ঘন্টা জলপথে কাঁকড়া ধরতে গেছিলেন বাসুদেব ভুঁইঞা, তাঁর স্ত্রীসহ আরও দুজন। জলে কুমীর। ডাঙায় বাঘ। ভোর থেকে কাঁকড়া ধরা। নৌকোতে রাতযাপন। দিন কতক না থাকলে সামান্য কটা টাকাও দেবে না ঠিকাদার। এটাই জীবন। সকালে শৌচকর্ম করতে পাড় থেকে একটু উঠে জঙ্গলের ভিতরে গিয়েছিলেন তিনজন। সরস্বতীর সামনেই স্বামী বাসুদেবের ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে টেনে নিয়ে গেছে বাঘ। বাধাহীনভাবে। কে দেবে বাধা? বাঘ নাকি বেশ বড়। এসব ক্ষেত্রে যা হয়, কুশপুতুল পুড়িয়ে শেষকৃত্য। তাই হয়েছে। বাসুদেবের বাড়িতে আছে বিধবা মা, স্ত্রী, আট বছরের মেয়ে, তিন ছোট ছেলে। স্বামী স্ত্রী বেরোতেন রোজগারে। এবার আট বছরের মেয়ে রোতনিকে নিয়ে আবার জঙ্গলেই যেতে হবে সরস্বতীকে। আর হ্যাঁ, ক্ষতিপূরণের বালাই নেই। কারণ রোজগারের ব্যবস্থা দিতে না পারলেও এভাবে জঙ্গলে যাওয়াটা সরকারি বাবুদের খাতায় বেআইনি।
