বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সিএবি থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন সৌরভ

বাইশ গজ থেকে অবসর নেওয়ার পর বাইশ গজের বাইরে সমানভাবে সাবলীল যে হওয়া যায়, তার পরিয়ে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিগত পাঁচ বছর ধরে সিএবির মাথায় বসে ক্রিকেটের নন্দনকাননকে দিয়েছেন এক অন্য রূপ। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বিশ্বের দরবারে আরও উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার পালা। সেই চাবিকাঠি এখন বাংলার মহারাজের হাতে। কারণ, সিএবির সভাপতি হতে চলেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আগামী 23 অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিসিআইয়ের মসনদে বসবেন মহারাজ। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার শহরে প্রথম পা রাখেন তিনি।

বিমানবন্দরে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তারপর মা ফ্লাইওভার ধরে সৌরভের কনভয় ছুটে আসে সিএবির দিকে। রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয় মহারাজকে। বৈশাখী ডালমিয়া গোলাপের পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান তাঁকে। সিএবির বাইরে ছিল অসংখ্য ভক্তের ভিড়। প্রত্যেকের একটাই কামনা, ‘এক ঝলক দেখতে চাই দাদাকে’। দেখতেও পেলেন। সকলের উদ্দেশ্যে সৌরভ হাত নেড়ে ক্রিকেটের নন্দনকাননে পাতা রেড কার্পেট দিয়ে মহারাজ চলে যান মিডিয়া সেন্টারে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ বলেন, ‘একটা আলাদা অনুভুতি। ভীষণ ভাল লাগছে। তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার একটা খিদেও রয়েছে। এতদিন সিএবি প্রশাসক হিসেবে ছিলাম। এবার বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নিতে চলেছি। আশা করব, সকলের সমর্থনে সফলতা আসবে।’

প্রসঙ্গত বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুত্র জয় শাহ। এমনকি সৌরভের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাজনৈতিক কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে, আগামী দিনে বিজেপির মুখ হতে চলেছেন তিনি। কিন্তু এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সৌরভ জানালেন, ‘এমন কোনও শর্ত আমার সঙ্গে অমিত শাহ কেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরই হয়নি। আমরা দীর্ঘক্ষন বিসিসিআই নিয়েই আলোচনা করেছি। জয় শাহ সেক্রেটারি হয়েছে বলেই বিসিসিআইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’

তবে সৌরভ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়াতে বাংলার ক্রিকেটের উন্নতি হবে কিনা এই প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘ইতিমধ্যেই বাংলা থেকে খেলছে ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামি। ঈশ্বরণও আছে। এরপর যারা ভাল খেলবে তারা নিশ্চয়ই সুযোগ পাবে।’ তবে কোনও পক্ষপাতীত্ব বাংলাকে দেখানো হবে না বলে জানান নয়া বিসিসিআই সভাপতি।

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন পাকিস্তানের কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়নি। এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরে মুখোমুখি হয়নি এই দুই দেশ। ভবিষ্যতে কি হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ জানান, ‘আমায় এই প্রশ্ন না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করুন। কারণ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। আমি এই সিদ্ধান্তের পাশে আছি। কারণ, এটা শুধু দুটো দেশের মধ্যে খেলা নয়। দুটো দেশের ভালো-মন্দ জড়িয়ে আছে। তাই কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই দিকেই এগোব।’

তবে নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার পরেই স্বার্থের সংঘাত ইস্যু এবং টেস্টে গোলাপি বলের আবির্ভাব ঘটাতে উদ্যোগী মহারাজ। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, সিএবি প্রশাসক হিসেবে যতটা সফল হয়েছেন তিনি, বিসিসিআই প্রশাসক হিসেবে ততটাই সফল হন কিনা।

Previous articleরাজ্যপালের কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি জানবেন রাষ্ট্রপতি, জানালেন বিজয়বর্গীয়
Next articleএলসার লিপে শোনা যাবে পরিণীতি-প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠস্বর