জেএনইউতে অভিজিৎ যেন পড়ুয়া, বললেন প্রধানমন্ত্রী চাইলেও সাহায্য করব

চাইলে নরেন্দ্র মোদিকেও সাহায্য করতে রাজি। কারন, রাজনৈতিক মতাদর্শের চেয়েও আমার কাছে আগে দেশের উন্নতি। দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে স্মিতহাস্যে জানিয়ে দিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফিরে গেলেন তাঁর নস্টালজিয়ার দেশে। ফিরে গেলেন তাঁর তরুণ জীবনের আনাচ-কানাচে। শুক্রবার দেশে এসে শনিবার দুপুরে অভিজিৎ চলে আসেন তাঁর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেখা করলেন ভাইস চান্সেলার যগদীশ কুমারের সঙ্গে। ক্যাম্পাসে ঘুরলেন, ক্যান্টিনে আড্ডা মারলেন, গেলেন সবচেয়ে পছন্দের জায়গা লাইব্রেরিতে। বই উল্টেপাল্টে দেখলেন। আবার মাঝে পড়ুয়াদের সঙ্গে মাতলেন টেবল টেনিসে, মেটালেন সেল্ফির আবদারও।

আরও পড়ুন – অর্থনীতির হাল ফেরাতে রুগ্ন ব্যাঙ্ক বিক্রির পরামর্শ অভিজিতের

নোবেলজয়ী আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেএনইউওতে। দেখার মতো ছবি। যেখানেই যাচ্ছেন, সেটাই খবর। দেশে বিজেপির কটাক্ষ এবং আক্রমণের কথাও তাঁর কানে গিয়েছে। উঠেছে সে কথাও। এতটুকু বিরক্তি নয়, এড়িয়া যাওয়া নয়, স্মিতহাস্যে জানালেন, হ্যাঁ, কংগ্রেস আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জানতে চেয়েছিল কোথায় কতখানি বরাদ্দ করা যায়। পরামর্শ দিয়েছিলাম। পাল্টা জানাতে ভোলেননি, কংগ্রেস কেন, বিজেপি চাইলে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাঁকেও তিনি সাহায্য করবেন। আমার কাছে দেশ আগে, মতাদর্শ পরে। মঙ্গলবার মোদি-অভিজিৎ সাক্ষাৎকারের আগে এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে।

আরও পড়ুন – অভিজিতের নোবেল জয়ে বাঙালি হিসাবে গর্বিত : সৌরভ

Previous articleকুকুর-কাণ্ড: চার বছর পর ভর্ৎসনার সময় পেল এমসিআই!
Next articleশহরে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক বিদেশি পর্যটকের