মধ্যযুগীয় বর্বরতা! মারধর, উলঙ্গ করে ঘোরানো হল এক গৃহবধূকে

ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখা গেল নানুর থানার খুজিটিপাড়ায়। গৃহবধূকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেওয়া এবং উলঙ্গ করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উলঙ্গ করে গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে গ্রামের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এখন পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে গৃহবধূ।

প্রসঙ্গত, টগরী লোহার নামে গৃহবধূর বিয়ে হয়েছিল কড্ডা গ্রামের মাখন লোহারের সঙ্গে। বিয়ের দশ বছর পর তাঁদের দুটি সন্তান হয়। এরপর 2011 সালে টগরী লোহার গ্রামের একটি ছেলে রঞ্জন লোহারের সঙ্গে পালিয়ে যায়। আবার রঞ্জনের সঙ্গেই টগরী 2012 সালের এপ্রিল মাসে গ্রামে ফিরে আসে। এরপর গ্রামে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। সালিশি সভায় রঞ্জন লোহার কে 30 হাজার টাকা জরিমানা করে এলাকার তৃণমূল নেতারা। এরপর ফের টগরী লোহারের সঙ্গে তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী মাখন লোহার এর সম্পর্ক ঠিক হয়। তাঁদের সম্পর্ক ঠিক হওয়ার পর তাঁরা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। ফের কিছুদিন যেতে না যেতেই টগরী খুজিটিপাড়ায় পাড়ায় আবার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ চাপ দিতে থাকে তাঁকে। গত পরশুদিন যুবক বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা টগরী-কে তার মায়ের বাড়িতে উলঙ্গ করে মারধর করে। এরপর গোটা গ্রাম জুড়ে তাঁকে উলঙ্গ করে ঘোরানো হয়।

আরও পড়ুন-নোবেলজয়ীকে আজীবন সদস্যপদ দিতে চলেছে মোহনবাগান

Previous articleনোবেলজয়ীকে আজীবন সদস্যপদ দিতে চলেছে মোহনবাগান
Next articleপাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুমৃত্যুর হারে ভারত প্রথম!