‘গুমনামি’ সিনেমায় নেতাজিকে হেয় করা হয়েছে, দাবি লিগ্যাল এইড ফোরামের

নেতাজি বিচার ফাউন্ডেশন ও অল ইন্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে প্রেস ক্লাবে

পালিত হয়েছে সুভাষ চন্দ্র বসু, রাসবিহারী বসু ও মোহন সিং কর্তৃক গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের 75 বর্ষপূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান উদযাপন।
1943 সালের 21 অক্টোবর নেতাজি সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করেছিলেন। এই দিনটির স্মরনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে
‘গুমনামি’ সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তথ্যবিকৃতির অভিযোগ এনে তোপ দাগলেন নেতাজি অনুরাগী এবং গবেষকরা। ‌ এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন নেতাজী গবেষক ডঃ পূরবী রায়, নেতাজির ভাইঝি চিত্রা বসু, আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, আইনজীবী চান্দ্রেয়ী আলম, প্রাক্তন পুলিশকর্তা পংকজ দত্ত ও কর্ণেল সব্যসাচী বাগচি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘গুমনামি’-র কাহিনি নিয়ে তাঁরা যে একমত নন তা স্পষ্ট করেন আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গুমনামি বাবাকে নেতাজি বলে চালানোর একটা চেষ্টা হচ্ছে। এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। যিনি ছবিটি তৈরি করেছেন তিনি বিশিষ্ট পরিচালক। কিন্তু ‘গুমনামি’ ছবিতে তিনি যেভাবে নেতাজিকে হেয় করেছেন, তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” নেতাজি গবেষক ডঃ পূরবী রায় বলেন, “কখনও ফৈজাবাদের বাবা, কখনও শৈলমারির বাবা, কখনও আবার ফালাকাটার বাবা বলে নেতাজিকে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। এভাবে ইতিহাস এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করাই শুধু নয় একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিককে অপমানও করা হচ্ছে। আমার গবেষণায় আমি কখনও কোনও সাধুবাবাকে নেতাজি রূপে দেখতে পাইনি।”
চান্দ্রেয়ী আলম বলেন,”নেতাজি মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে গঠিত মুখোপাধ্যায় কমিশনে মোট 131 জন সাক্ষী দিয়েছিলেন।ওই কমিশনে আমিও যুক্ত ছিলাম। এই ছবিতে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে সব কিছু বিচার করা হয়েছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই কমিশন শুরু হয়। কিন্তু যখন কমিশন কাজ শেষ করে তখন দেশের সরকার বদল হয়ে গিয়েছে। যে 7 জন কমিশনে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বলে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, পরে তাদের দু’জন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সরকার আর কমিশনের রিপোর্টকে মান্যতা দেয়নি।”

Previous articleভারতে আসবে বাংলাদেশ, আশাবাদী সৌরভ
Next articleশুরু দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট