জম্মু-কাশ্মীরও মুখ ফেরাল ভোটে, চিন্তায় অমিত শাহদের কপালে ভাঁজ

মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় ভোট কমেছে, আসন কমেছে। তবু সরকারি দলে থাকার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে, নির্দলদের ‘টোপ’ দিয়ে সরকার তৈরি করছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে কাশ্মীরের ব্লক উন্নয়ন পরিষদের ভোটেও কার্যত ব্যাক সিটে বিজেপি। মাত্র ২৬% শতাংশ আসনে জিতেছে বিজেপি। বাকি নির্দলদের হাতে। বকলমে যা বিরোধী দলগুলির প্রার্থী। কারন, ভোটের আগেই সমস্ত বিরোধী দল জানায় তারা ভোটে লড়বে না। লড়বে নির্দলরা। এই ফল কী বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার শুরুয়াৎ! এই ফল কাশ্মীরে সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ? কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি তেমনই বলছে। ভোটের ফল বেরনোর পর গ্রাম প্রধানরা সাফ জানাচ্ছেন তাঁদের প্রথম টার্গেট ছিল বিজেপিকে হারানো। এছাড়া অবহেলা উপেক্ষা করে উন্নয়নের দাবি জানানো। আর এ নিয়ে দুই রাজ্য, উপনির্বাচনের পাশাপাশি কাশ্মীরের ভোটেও বিজেপি প্রশ্নের মুখে। প্রধানমন্ত্রী এই ভোটকে গণতন্ত্রের জয় বললেও উপত্যকার প্রতিনিধিরা বলছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই আমরা দল বেঁধে ভোট দিয়ে এসেছি। আগামী সব ভোটেই আমাদের আওয়াজ হবে বিজেপি হঠাও। এই বয়ান নিশ্চিতভাবে অমিত শাহদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে।

রাজ্যে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীরে এটা ছিল প্রথম ভোট। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল ভোট পড়েছে ৯৮%। এই নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট দেন না। ভোটাধিকার রয়েছে পঞ্চ ও সরপঞ্চরা। ভোট দেন প্রায় সাত হাজার প্রতিনিধি। ৩১৬টি ব্লকের ২৯৮ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৮১টিতে, বাকি ২১৭ আসন বিরোধীদের। বিজেপি কাশ্মীরে জিতেছে ১৮টি, জম্মুতে ৫২টি ও লাদাখে ১১টি।

Previous articleএকুশে 200 আসন হলেই 100 ভরির সোনার মুকুট দেবেন অনুব্রত
Next articleখুন, ধর্ষণ, বেআইনি ব্যবসা! হরিয়ানার কিং মেকার কান্ডা বিজেপির নয়া বিড়ম্বনা