খুন, ধর্ষণ, বেআইনি ব্যবসা! হরিয়ানার কিং মেকার কান্ডা বিজেপির নয়া বিড়ম্বনা

যে বিজেপি স্বচ্ছ্বতার বড়াই করে, হরিয়ানায় সরকার গড়তে গিয়ে কলঙ্কিত গোপাল কান্ডার শরণাপন্ন হওয়ার পরেই সরব বিরোধীরা। কংগ্রেস বলছে এটাই বিজেপির আসল চরিত্র। ক্ষমতা ধরে রাখতে খুন, ধর্ষণ, তোলাবাজি, গুণ্ডামিতে অভিযুক্তদের দিয়ে বিধায়ক কেনাবেচায় নেমেছে। লোকহিত পার্টির বিধায়ক গোপাল হরিয়ানার নির্দল ১০ বিধায়ককে নিজের বিমান সংস্থার বিমানে তুলে দিল্লি নিয়ে চলে আসেন। তারপর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। এবং শেষে বিজেপিকে সমর্থনের ঘোষণা।

কে এ-ই গোপাল কান্ডা? সামান্য রেডিও সারিয়ে দিন গুজরান করা গোপালের উত্থান অবিশ্বাস্য। সিরসায় রেডিও সারানোর কাজ ছেড়ে গোপাল ভাইদের সঙ্গে জুতোর দোকান খোলেন। সেটা নয়ের দশক। এই ব্যবসা করতে করতে জুতোর কারখানা তৈরি করে ফেলেন। ব্যবসা করতে করতে মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের সঙ্গে যোগাযোগ। চৌতালা মুখ্যমন্ত্রী হতে তাঁর দলে। কারখানার পাশাপাশি জমি বাড়ির ব্যবসা জমিয়ে শুরু করে দেন। এই ব্যবসায় সরকারি বদান্যতায় এতটাই ফুলে ফেঁপে ওঠেন যে একটা আস্ত বিমান সংস্থা চালু করে দেন। আর সেই বিমান সংস্থায় চাকরি নেওয়া তরুণী এয়ার হস্টেসের আত্মহত্যা নিয়ে শোরগোল। অভিযোগ গোপালের দিকে। তারপর তরুণীর মায়ের আত্মহত্যা। তবু গোপাল অপ্রতিরোধ্য। ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে দোস্তি করে রাজ্যের মন্ত্রী। বিজেপি গোপালের বিরুদ্ধে নামে। তারপর গ্রেফতার ও জেল। দেড় বছর বন্দিজীবন। ২০১৪ তে মুক্তি পেয়েই বিজেপির ঘনিষ্ঠ। এবার ফের সিরসা থেকে জয়ী। এবং সব নির্দলকে বিজেপির ঘরে তুলে দেওয়া।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা বলছেন, কুলদীপ সিঙ্গার, নিত্যানন্দ রাই, এবার গোপাল কান্ডা। বিজেপি নাকি মহিলাদের সম্মান করে! ভারতীয় মহিলাদের উচিত বিজেপিকে বয়কট করা। সেই প্রয়াত বিমান সেবিকার ভাই প্রতিবাদে মুখর। বলছেন, ১৮০০ পাতার চার্জশিট পাওয়া গোপালকে সামনে এনে বিজেপি প্রমাণ করল তারা মানুষকে সম্মান করে না, ক্ষমতাকে। তবে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন ঊমা ভারতী। তিনি প্রকাশ্যেই বলছেন, এমন মানুষকে সামনে এনে বিজেপি নিজেদের কলঙ্ক বাড়াচ্ছে।